লকডাউনে ল্যাপটপ, মোবাইলে চোখ-ঝাপসা দৃষ্টি; কী করবেন, জানুন
লকডাউনের এই সময়টাতে ঝাপসা দৃষ্টি একটি সাধারণ সমস্যা। অনেকের এর সঙ্গে দেখা দিতে পারে চোখে জ্বালা-পোড়া, ব্যথা, চোখ ফুলে লাল, পানি পড়া। তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, এই সমস্যা অন্ধত্ব নয়।
লকডাউনে সারাক্ষণ মোবাইল বা ল্যাপটপে চোখ থাকে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে হোম অফিস বা বাসায় বসে অফিসের কাজ করা। চোখ সারাক্ষণ স্ক্রিনে থাকায় এর ক্ষতিকর রশ্মি চোখে নানা সমস্যার সৃষ্টি করছে। চোখের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। ঝাপসা হচ্ছে দৃষ্টি। কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন?
জেনে নিন কিছু উপায়-
১. বিরতি নিন কাজের ফাঁকে: যারা চাকরি করেন, তাদের অফিস সময়টা স্ক্রীনে চোখ রেখেই কাটে। লকডাউনের এই সময়টাতে হোম অফিস বাধ্যতামূলক। ফলে স্ক্রীন থেকে পালাবার উপায় নেই। এক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা আপনার চোখকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাবে। প্রতি ১৫-২০ মিনিট পর পর স্ক্রিন থেকে বিরতি নিন। কয়েক সেকেন্ড চোখ বন্ধ করে রাখুন। আপনার চোখের চারপাশের পেশীগুলি ম্যাসাজ করুন। দুই ঘন্টার মধ্যে চোখে পানির ঝাপটা দিন। হাত দিয়ে কখনো চোখ ঘষবেন না। চোখ শুকনা মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে আই ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
২. অনলাইনে থাকুন নির্দিষ্ট সময়: যারা চাকরি করেন না বা তাদের হোম অফিসের বাধ্যবাধকতা নেই, তারা বই পড়তে পারেন বা হাতের কিছু কাজ শিখতে পারেন। তাহলে কম সময় অনলাইনে থাকবেন। বাকি সময়টা অন্য কোন সৃষ্টিশীল কাজে ব্যয় করুন। ফলে আপনার চোখ স্ক্রীনের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে।
৩. পরিবারকে সময় দিন: পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো মানে মোবাইল বা ল্যাপটপে কম সময় ব্যয় করা। তাই অবসরে পরিবারের সঙ্গে আড্ডা দিন। চোখ থাকবে সতেজ।
৪. পুষ্টিকর খাবার বেছে নিন: বাদাম, আখরোট, মাছ এবং টক ফল খাদ্যতালিকায় রাখুন। এগুলো পুষ্টি বাড়ায়। চোখ ভালো রাখে। মাছের মধ্যে থাকা মেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অন্ধত্ব দূর করে।
৫. পর্যাপ্ত আলোতে বসে কাজ করুন: অন্ধকারে বসে মোবাইল বা ল্যাপটপ দেখা বা কাজ করা চোখের পক্ষে ক্ষতিকর। উজ্জ্বল আলোর নীচে বসে কাজ করুন বা অনলাইনে থাকুন। সমস্যা এড়ানো সম্ভব হবে।