করোনা: ফ্রিজের ব্যাপারে যেসব সাবধানতা
করোনার দখলে গোটা বিশ্ব। সাবধানতাও লাগাম টানতে পারছে না এই ভাইরাস মোকাবিলায়। করোনা ভাইরাস ৪ ড্রিগ্রি তাপমাত্রার নিচে আরাম বোধ করে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ঘরে ঘরে ফ্রিজ হলো করোনার নিরাপদ আবাস। আমরা প্রতিনিয়ত বাজার থেকে যেসব জিনিস বাসায় নিয়ে আসি।
যেমন- মাছ, মাংস, সবজি ইত্যাদি, এগুলোর মাধ্যমে ভাইরাসটি বাহিত হয়ে ফ্রিজে ঢুকে। তারপর সেখানে ১৪ দিন আরামে বেঁচে থাকে। অন্য কোন কিছুতে ভাইরাসটি এতো বেশি সময় বেঁচে থাকে না। আমরা যখন সেই জিনিস বের করে খাই তখন আক্রান্ত হই। তাই ফ্রিজ বিপদজনক। অথচ ফ্রিজ বাদ দেওয়াও মুশকিল।
সে ক্ষেত্রে আমাদের করণীয়- ফ্রিজ খোলার সময় নাক-মুখ দূরে রাখা। সম্ভব হলে মাক্স পরা। যতবার ফ্রিজে হাত দিবেন ততবার অন্য কিছু ধরার করার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। ফ্রিজের জিনিস ১০০ ডিগ্রি তাপের উপরে ভালভাবে রান্না করে খেতে হবে। ফ্রিজ থেকে বের করে কাঁচা কোন জিনিস খাওয়া যাবে না। যেমন- শশা, গাজর, ফল, কাঁচা মরিচ, আইসক্রিম ইত্যাদি।
ফ্রিজে রাখা রান্না করা খাবার পুনরায় উচ্চ তাপে গরম না করে খাওয়া যাবে না। মাছ-মাংস, সবজি, রান্না করা খাবার আলাদা করে রাখতে হবে। ডিম আপাতত না রাখাই ভাল। সপ্তাহে অন্তত এক বার গরম পানি দিয়ে ফ্রিজ সম্পূর্ণ পরিস্কার করতে হবে। সর্বোপরি ধরেই নিবেন ফ্রিজের মধ্যে করোনা ভাইরাস আছে- সেভাবে সাবধানতা অবলম্বন করবেন।