বাজেটের অর্থ কীভাবে সংকুলান করতে হবে, পরামর্শ বিএনপির

0

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের অর্থ সংকুলানের পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার দুপুরে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির বাজেট ভাবনা : অর্থবছর ২০২০-২০২১’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ পরামর্শ তুলে ধরেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ফখরুল বলেন, অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ায় আয়কর ও মূল্যসংযোজন কর কমবে, ফলে রাজস্ব আশানুরূপ হবে না। বাজেট ঘাটতি অর্থায়নের জন্য বিদেশি ঋণের ওপর জোর দিতে হবে। বাজেট ঘাটতি ও জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) তুলনায় ঋণের অনুপাত সহনীয় কোঠায় সীমিত রাখতে হবে। মন্দায় ভোক্তার ব্যয় ও উৎপাদনের দুরবস্থায় মূল্যস্ফীতির সম্ভাবনা কম থাকলেও মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি কঠোর মনিটরিং করতে হবে।

অর্থসংস্থানের জন্য সমন্বিত কৌশল গ্রহণের পরমর্শ দিতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে হবে। কিন্তু চাহিদা ও খরচ ব্যয় বিঘ্নিত না করার স্বার্থে কৃচ্ছতায় যাওয়া যাবে না। বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি চার্জ ভর্তুকি বাদ দিতে হবে।সরকারের অতিরিক্ত জনবল ইত্যাদি বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বলেন, সহজে কর আদায়ের খাতগুলো চিহ্নিত করতে হবে। যেমন, এ দেশে কর্মরত অনিবন্ধিত প্রায় আড়াই লাখ বিদেশি নাগরিকের কাছ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ও আয়করবাবদ প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার আয়কর আদায় করা যায়। ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল সক্রিয় করে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো থেকে কর বৃদ্ধি করতে হবে। যেসব দেশি কোম্পানিকে গোষ্ঠীতান্ত্রিক কর-সুবিধা দেয়া হয়, তা পুননিরীক্ষণ করতে হবে। দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উৎস থেকে বিদেশি অনুদান বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।

কেবল দীর্ঘমেয়াদি কম সুদের ও গ্রেস পিরিয়ডসম্পন্ন বিদেশি ঋণ নিতে হবে।

ফখরুল বলেন, অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে ব্যাংক খাত থেকে আর ঋণ নেয়া যাবে না। কারণ, ব্যাংকগুলো ইতোমধ্যেই তারল্য সংকটে রয়েছে। ট্রেজারি বিল ও সঞ্চয়পত্রে ঋণ পরিশোধ ব্যয় বাড়াবে। বাংলাদেশ ব্যাংককেই সরকারের অর্থের জোগান দিতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে, সেই পরিমাণ তারল্যই বাজারে প্রবেশ করতে দিতে হবে, যে পরিমাণ অর্থ সংকোচন ক্ষতি পুষিয়ে দেবে বা মূল্যস্ফীতি সহনীয় অবস্থার মধ্যে রাখবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বলেন, যেকোনো সংকটের শুরুতে তারল্য প্রবাহ কমে যায়। অতএব, ব্যাংকগুলোকে সক্রিয় করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানিকারকদের অর্থ বিলম্বে পরিশোধের পাশাপাশি প্রয়োজনে বৈদেশিক মুদ্রা আমদানি তহবিল গঠন করতে পারে।

‘বাণিজ্যপ্রবাহে বিঘ্নতা এড়াতে বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা দরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রা অদলবদল বা কারেন্সি সোয়াপ, বার্টার ব্যবস্থা চালুর পদক্ষেপ এবং পুঁজির বহির্গমন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। শুধু মুদ্রানীতি দিয়ে বা তারল্য জোগানের মাধ্যমে এ মহাসংকট থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না। প্রয়োজন সক্রিয় রাজস্ব নীতির’,- বলেন বিএনপি মহাসচিব।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com