অসহায়দের ঘর দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাত আনসার কমান্ডারের
খুলনার ফুলতলা উপজেলার আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের আনসার কমান্ডার মো. মোক্তাদির খান (তারফিন) ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে কয়েকজনের নিকট থেকে টাকা আতৎসাতের করেছেন। যা ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে শিকার করেছেন ওই আনসার কমান্ডার।
রবিবার (৭ জুন) ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত এ অভিযোগ দেওয়া হয়।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দিঘলিয়া উপজেলার যোগিপোল ইউনিয়নের তেলিগাতী সরদার পাড়া এলাকার মৃত রফিক শেখের ছেলে রহিম (১৯) ও তার নানী রহিমা বেগমসহ আরো অনেকের কাছ থেকে ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আনসার কমান্ডার মোক্তাদির সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে ১০ হাজার টাকা করে নেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কোন ঘর দিতে পরেনি ওই আনসার কমান্ডার। আর টাকা ফেরত চাইলে ঘর পাবে বলে নানা অজুহাত দিতে থাকে। পরে নিরুপায় হয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগিরা।
অভিযোগকারী আঃ রহিম শেখ বলেন, আমার আব্বা বেঁচে নাই। মা মানসিক ভারসাম্যহীন। আমাদের মাথা গোজার ঠাই নেয়। শিরোমণিতে একটা ঔষধের দোকানে কাজ করি এবং এখান থেকে যে বেতন পাই তা দিয়ে কোন মতো আমার লেখাপড়ার খরচটা চলে। একদিন আনসার কমান্ডার মোক্তাদির খান শিরোমণির দোকানে এসে বলেন তুমি ১০ হাজার টাকা দেও, তোমাকে ৩ লক্ষ টাকার সরকারি ঘর এনে দেবো। তার কথা সহজ সরল ভাবে বিশ্বাস করে আমি গ্রামের এক লোকের কাছ থেকে মাসে ৫ শত টাকা লাভে ১০ হাজার টাকা এনে দিই। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও আমি ঘর বা টাকা কোনটাই পেলাম না। বরং, ঘর নয়, এখন টাকা ফেরত চাইলে আমাকে নানা অজুহাতে ঘুরাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি ওই আনসার কমান্ডারকে তলব করেছিলাম। কিছুক্ষণ পরে এসে সে অপরাধ শিকার করেছে। তাকে টাকা পরিশোধের জন্য সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। সে চাকরি প্রাপ্ত ছিল না। শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত আনসার কমান্ডার ছিল। তাকে সেই পদটি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।