ভালো ঘুমের জন্য কী করবেন?
এই সময়ে এসে ঘুম উধাও হয়ে গেছে? সারারাত ঘুমের দেখা নেই এদিকে দিনের বেলা ঘুমে চোখ ঢুলুঢুলু? এমনটা হওয়া অস্বাভাবিক নয়, যখন নানারকম চাপ আপনাকে সামলে চলতে হচ্ছে। দিনের পর দিন ঠিক করে ঘুম না হলে শরীর খারাপ হবেই। মেজাজও ঠিক থাকবে না। পাশাপাশি ডিপ্রেশন আরও বাড়তে পারে।
ঘুম ঠিকভাবে না হলে যেকোনো কাজেই মনঃসংযোগ করা কঠিন হয়ে যায়। তবে এই পরিস্থিতি থেকে নিজেকেই বার হয়ে আসতে হবে। সেজন্য কতকগুলো বিষয় মেনে চলতে হবে।
বাড়িতে বসে অফিসের কাজ করার ফলে আপনার স্বাভাবিক রুটিন এলোমেলো হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। কাজেই এখনকার মতো একটি নতুন রুটিন তৈরি করে ফেলতে পারলে ভালো। রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস যদি থাকে, তাহলে বদলাতে চেষ্টা করুন। কিন্তু যদি তা রাতে করতেই হয়, তাহলে পরে সে ঘুম পুষিয়ে নিতে হবে।
বাড়িতে থাকলে অনেক সময়েই দুপুরে খেয়ে ওঠার পর চোখ লেগে আসতেই পারে। কিন্তু সচেতন ভাবে এই দিবানিদ্রা এড়িয়ে চলুন। এতে রাতের ঘুম নষ্ট হয়ে যাবে। অবশ্য আগের রাতে ভালো না ঘুম হলে, ঘণ্টাখানেক ঘুমিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু এর বেশি নয়।
বাড়তি স্ট্রেসের কারণে যদি অনিদ্রায় ভুগতে শুরু করেন, তা হলে আপনার প্রথম কাজই হবে মানসিক চাপ কমানো। কিন্তু এমনি এমনি তো আর সেটা কমবে না। নিজেই নিজের কাউন্সেলিং করুন। নিজেকেই বুঝতে হবে, যে বিষয়গুলোর উপর আপনার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, তা নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা করেও লাভ নেই। তবে খুব সমস্যা হলে মনোবিদের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
কাজের সময় শোয়ার ঘর এড়িয়ে চলুন। বিছানার বদলে চেয়ার-টেবিলে বসে কাজ করা ভাল। অফিসে যেভাবে কাজ করে থাকেন, সেটাই মেনে চলুন।
বাড়িতে থাকলেও নিজেকে ফিট রাখতে শারীরচর্চা জরুরি। এতে বাড়তি এনার্জি যেমন পাওয়া যাবে, তেমনই রাতে ঘুমও ভালো আসবে।
অতিরিক্ত ক্যাফেইন এমনিতেই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। তাই বিকেলের পর আর কফি না খাওয়াই ভালো। দিনে দু’কাপের বেশি কফি খাওয়া ঠিক নয়।
ঘুমের পরিবেশ তৈরির জন্য তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে। ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে টিভি বন্ধ করে দিন। পারলে মোবাইল, ল্যাপটপও এড়িয়ে চলুন। ঘুম না এলেও নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময়েই শুতে যেতে হবে।
সব কাজের মাঝেও নিজের জন্য অল্প কিছুটা সময় বের করতে হবে। নিজের যে কাজটা করতে ভালো লাগে, সেটা করুন। সঙ্গে বাকি নিয়মগুলোও মেনে চলুন। ঘুম আপনাকে ছেড়ে আর পালাবে না।