ওজন কমাতে যে ৬ কাজ করবেন
একটু এদিক-সেদিক হলেই যেমন ওজন বেড়ে যায়, ওজন কমানো কিন্তু তেমন সহজ নয়। যারা ওজন কমানোর চেষ্টায় আছেন, তাদের জিজ্ঞেস করে দেখুন। শত চেষ্টার পরেও কাঙ্ক্ষিত ওজনে পৌঁছাতে গলদঘর্ম হন তারা। অনেক কষ্টে ওজন কমাতে সক্ষম হলেও আবার একটু উদাসীন হলেই আগের অবস্থায় পৌঁছে যান। আপনি যদি ওজন কমানোর সহজ কোনো উপায় খুঁজতে চান তবে বেছে নিতে পারেন ছয়টি কাজ-
আপনার পছন্দসই ওয়ার্কআউট বেছে নিন: আপনার পরিচিত কেউ সুফল পেয়েছে জেনে আপনিও সেই ওয়ার্কআউট বেছে নিতে যাবেন না। কারণ সবার শারীরিক অবস্থা একইরকম নয়। তার পদ্ধতি আপনার জন্য সুফলদায়ক নাও হতে পারে। তাই আপনি যেটি করতে পছন্দ করেন, সেটিই বেছে নিন। যা-ই করুন না কেন, ধারাবাহিকতা না থাকলে ফল মিলবে না। তাই যাতে আপনি স্বচ্ছন্দ নন, তা করলে ক্লান্তি আসবে সহজেই। শেষ পর্যন্ত তা বাদ দিয়ে দেবেন হয়তো। তাই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পছন্দেও ওয়ার্কআউট করুন।
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গঠন করুন: ওজন কমানোর জন্য আপনি যেসব চেষ্টা করে যাচ্ছেন তা অভ্যাসে পরিণত করা জরুরি। প্রতিদিন হাঁটুন। রাতে হালকা খাবার খান। চেষ্টা করুন সন্ধ্যার পরপরই রাতের খাবার খেয়ে নিতে। এছাড়াও, এটি প্রচলিত যে, আপনি যদি ২১ দিনের জন্য সরাসরি কিছু অনুসরণ করেন তবে এটি অভ্যাসে পরিণত হয়। তাই সঠিক ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটি আপনাকে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
প্রোটিন খান: প্রোটিনের চেয়ে কার্বসের দিকে বেশি মনোযোগী হওয়া আমাদের ওজন বৃদ্ধির আরেকটি কারণ। এটি পছন্দ করুন বা না করুন, আপনার ফিটনেস নিশ্চিত করতে প্রোটিন অনেক বেশি দরকারী। প্রোটিন দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখে ফলে ক্ষুধা কম লাগে। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এটি বেশ জরুরি।
ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা বাদ দিন: প্রতিবার খাবারের পরে ক্যালোরি গণনা করছেন? প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় নিজের ওজন মাপছেন? আপনাকে বুঝতে হবে যে, আপনাকে ওজনকে ভয় করা চলবে না। কারণ আপনার মন আপনার শরীরের প্রতিটি ক্রিয়াকলাপের নিয়ন্ত্রক। তাই সমস্ত নেতিবাচক চিন্তা বন্ধ করুন। নইলে তার ছাপ পড়বে আপনার শরীরেও।
হাইড্রেটেড থাকুন: আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। এটি কেবল অপ্রয়োজনীয় ক্ষুধাই দূর করবে না, সেইসঙ্গেআপনার বিপাকক্ষমতাও বাড়িয়ে তুলবে। এটি দিনভর তরতাজা রাখতেও সাহায্য করবে।
খাবার শুরু করুন সালাদ দিয়ে: যখন খেতে বসবেন, প্রথমে এক বাটি সালাদ নিন। সালাদ খাওয়া শেষে আপনার পেটে আর খুব বেশি জায়গা থাকবে না। ফলে শরীরে কার্বসের পরিমাণ খুব বেশি প্রবেশ করবে না। এতে করে ওজন কমার যথেষ্ট সম্ভাবনা তৈরি হবে।