কয়েদি-হাজতিরা মেনে নিতে পারেননি আবরারের নির্মম মৃত্যু, তাই পিটিয়েছেন অনিককে
আবরারের মতো মেধাবী ছাত্রের এমন নির্মম মৃত্যু অন্য সব সাধারণ মানুষের মতো মেনে নিতে পারেননি কারাবন্দি কয়েদি এবং হাজতিরা। এ কারণেই অন্যতম আসামি অনিক সরকারকে কারাগারে পিটিয়েছেন তারা। মদ্যপ অবস্থায় অনিক কয়েক দফায় আবরারকে মারধর করেছিল। গুরুতর অবস্থায় আবরার দুই দফা বমি করলেও অনিকের ভয়ঙ্কর রূপ থেকে রক্ষা পায়নি মৃতপ্রায় আবরার। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ হত্যাকা ফলাও করে প্রচার হওয়ায় এর খুঁটিনাটি জানতে পারেন কারাবন্দিরাও। এসব জানায় কারাসূত্র।
ঘটনার পর দিনই অনিককে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। প্রথম দফা রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। তবে আদালতে যাওয়ার পর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হয় সে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছাতেই ক্ষুব্ধ বন্দিরা হামলে পড়ে অনিকের ওপর। কারারক্ষীদের চেষ্টায় রক্ষা পান অনিক। সেখানে অনিককে পেটায় আসামিরা।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালতে জবানবন্দি শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কেরানীগঞ্জ আদালতে পৌঁছে অনিক সরকারকে বহন করা প্রিজন ভ্যান। আনুষ্ঠনিকতা শেষে প্রধান ফটক দিয়ে কারাগারে প্রবেশ করে সে। কারাগারের সেলে ঢোকার সময়ই তাকে মারধর করেন কারাবন্দিরা। পরে তাকে অন্যত্র সরিয়ে নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। যদিও এ বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি কারা কর্তৃপক্ষ।