যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে মহাশয়তান, অপকর্মের উৎস: ইরানের নয়া স্পিকার
ইরানের জাতীয় সংসদের নয়া স্পিকার মোহাম্মাদ বাকের কলিবফ বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে মহাশয়তান এবং সব অপকর্মের উৎস। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অন্যায়ভাবে এক কৃষ্ণাঙ্গকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন।
নিজের টুইটার পেইজে দেওয়া পোস্টে কলিবফ আরও বলেছেন, যে দেশ সারা বিশ্বে যুদ্ধ, সামরিক অভ্যুত্থান, ক্ষুধা-দারিদ্র, বৈষম্য, নির্যাতন, ভ্রাতৃহত্যা ও চারিত্রিক অবক্ষয়ের উৎস হিসেবে ভূমিকা রাখছে এবং যে দেশের ভেতরেই বর্ণ ও জাতিগত বৈষম্য চরমে ও যেখানে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে মানুষকে হত্যা করা হয় সেই দেশকে বড় শয়তান না বলে আর কি বলা যায়?
এর আগে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক ফ্লয়েডের নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ ও নিন্দা জানিয়েছে।
৪৬ বছর বয়স্ক জর্জ ফ্লয়েডকে ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পর একজন পুলিশ অফিসার হাঁটু দিয়ে তাঁর গলা চেপে ধরলে কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান।
ফ্লয়েড মিনোপোলিস শহরের একটি রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মী হিসাবে কাজ করতেন। এ ঘটনায় একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে করোনা উপেক্ষা করে প্রতিবাদে সরব হন শত শত মানুষ। এরপর থেকেই বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলছে।
বিক্ষোভের সময় মিনোপোলিসে গুলিতে আরও এক কৃষ্ণাজ্ঞ নিহত হওয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে
বিক্ষোভকারীরা মার্কিন পতাকাতেও আগুন দিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দেওয়া আগুনে মিনোপোলিস শহরের প্রধান থানাও পুড়ে গেছে। সহিংস বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে।
জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের পাশাপাশি বিবেকবান শেতাঙ্গদেরও দেখা যাচ্ছে। ম্যাপিং পুলিশ ভায়োলেন্স নামের বেসরকারি সংস্থার চালানো জরিপে উঠে এসেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় তিনগুণ বেশি মারা যায় কৃষ্ণাঙ্গরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের শুরু থেকেই কৃষ্ণাঙ্গরা নানাভাবে নির্যাতিত হয়ে আসছে।