ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি এখন আওয়ামী লীগ নেতা
ছাত্রলীগ নেতা এস এম গোলাম মুর্শিদ হত্যা মামলার আসামি ছিলেন তিনি। ওই মামলায় আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন সাজাও হয় তার। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন পুরো নগরী। ২০১৪ সালে হয়ে যান নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলায় দন্ড পাওয়া আজিজুল আলম বেন্টু এখন আওয়ামী লীগের দাপুটে নেতা। আজিজুল আলম বেন্টু বলেন, ‘আমি এই মামলা নিয়ে কোনো কথা বলব না। যদি শুনতে হয় তাহলে সামনে আসতে হবে। টোটাল ইতিহাস শুনতে হবে। তখন আমি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। এই মামলাটি কখন হলো, কারা নেপথ্যে থেকে আমার ও আমার ভাইয়ের নাম দিল। সব ইতিহাস অল্প সময়ে বলা যাবে না।’ ছাত্রলীগ নেতা গোলাম মুর্শিদকে ১৯৯৯ সালের ২৬ মার্চ হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মুর্শিদের বাবা এস এম আবদুল জব্বার বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় রাজশাহী জেলা বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক ২০০৫ সালের ৮ মে বর্তমান নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টু ও তার ভাই জেলা কৃষক লীগের সভাপতি রবিউল আলম বাবুসহ ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়। আর খালাস পান তিন আসামি। এরপর প্রায় ৯ মাস কারাভোগ করেন আজিজুল আলম বেন্টুসহ সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন আসামিরা। এরপর উচ্চ আদালত মামলাটিই স্থগিত করে রাখে। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ এ নিয়ে আর কোনো আপিল করেনি। আবার আর্থিক টানাপড়েনে মুর্শিদের পরিবারের সদস্যরাও বেন্টুর ভয়ে মামলায় তদবির করতে পারেননি ঢাকায়। ফলে জেল খেটে আসার পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ক্রমেই সক্রিয় ও প্রভাবশালী হয়ে উঠতে থাকেন বেন্টুর পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয়রা জানান, গোলাম মুর্শিদ হত্যাকারীদের বিচার না হওয়ায় উল্টো হত্যাকারীরাই এখন আওয়ামী লীগের বড় বড় পদ দখল করে থাকায় রাগে ক্ষোভে আওয়ামী লীগের রাজনীতিই ছেড়ে দিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এমনকি হত্যাকারী আওয়ামী লীগ নেতাদের ভয়ে ভাই হত্যার বিচারও সাহস করে চাইতে পারছেন না তারা।