যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ চীনের
‘হংকং হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি অ্যাক্ট’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেইও হংকং সরকারকে ‘ব্ল্যাকমেইলিং’ করছে বলে অভিযোগ চীনের। চীন বৃহস্পতিবার বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক কার্যক্রম চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নির্লজ্জ হস্তক্ষেপের সামিল। পম্পেও’র বুধবার দেয়া এক বিবৃতির বিপরীতে চীন এই অভিযোগ তুলেছে বলে জানা গেছে।
পম্পেও বলেছেন, হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী নেতাকর্মীদের সাথে চীন যে আচরণ করেছে তা থেকে এই অঞ্চলটি স্বায়ত্তশাসিত কি না তা নির্ধারণ করা আরো কঠিন হয়ে পড়েছে। আমেরিকান আইনের আওতায় এই শহরটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
এর প্রেক্ষিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হংকং কমিশনারের কার্যালয়ের এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, পম্পেও চীনের জনগণকে ভীত করতে পারবে না। বেইজিং তার সার্বভৌমত্ব, সুরক্ষা ও জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে সমর্থ। একে অভ্যন্তরীণ বিষয়ের উপর স্পষ্ট হস্তক্ষেপ হিসেবেও অভিহিত করেছে সেখানকার সরকার৷
পম্পেও সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা চীন ও হংকং’র পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। তিনি বলেন, হংকং নেতা মার্টিন লি ও জিমি লাইকে চীনের আদালতে হাজির করা হয়েছিল। এই পদক্ষেপগুলো দেখে চীন থেকে এই অঞ্চলটি স্বায়ত্তশাসিত কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে ‘হংকং হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি অ্যাক্ট’ নামের একটি বিল পাস হয়। এতে অঞ্চলটির মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়ে মার্কিন সমর্থনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।সেখানে বলা হয়, হংকং চীনের অংশ কিন্তু সেখানে আলাদা আইন ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আছে। এই আইনে খতিয়ে দেখা হবে চীন হংকংয়ের নাগরিক স্বাধীনতা ও আইনে হস্তক্ষেপ করেছে কি না। এছাড়া আইনে হংকংকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ চীনের ওপর দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নিষেধাজ্ঞার প্রভাব হংকংয়ে পড়বে না। হংকংয়ের বাসিন্দারা আন্দোলনের কারণে গ্রেফতার হলেও তাদের ভিসা সুবিধা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৯৭ সালে ১ জুলাই পর থেকে চীনে হংকং অঞ্চলটি ‘একটি দেশ, দুই ব্যবস্থা’ এর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।
সূত্র : আল জাজিরা