যেহারে টেস্ট বাড়ানোর দরকার সে হারে বাড়ছেন না: ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আমরা কি করতাম বা কি করেছি সেটা অনেক আগেই অতীত হয়ে গেছে। জাতীয় ঐক্যের অন্যতম প্রধান প্রতীক হচ্ছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এই মুক্তিযুদ্ধের একটা দল যুদ্ধ করে নাই সবাই করেছে। যতগুলো দল তখন ছিল সবাই যুদ্ধ করেছে বলেই যুদ্ধটা সুষ্ঠুভাবে হয়েছিল। পাকিস্তানিরা আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারেনি এবং আমরা জয়লাভ করেছিলাম। একারণেই আমরা এই মানচিত্র পেয়েছি। সুতরাং বাংলাদেশের এই সমস্যা ঐক্যবদ্ধভাবে হবে না এটা আমার জন্য খুব অবাক লাগে। যে জাতি ঐক্যবদ্ধ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে সেই জাতি এইরকম একটা মুহূর্তে এক হতে পারল না। দ্বিধাবিভক্ত থাকলো।
ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, আমরা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যদি দেখি নরেন্দ্র মোদী প্রথমে লকডাউন করার আগে জনতার কারফিউ দিয়েছে। সেটা সাকসেসফুল হলো। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জি চেষ্টা করেছে বাড়িতে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার । সেই ধরনের কিছু আমরা এদেশে দেখি নাই।
তিনি বলেন, বিশ্ব সংস্থার রুলস তারা বারবার বলছে টেস্ট টেস্ট এন্ড টেস্ট । যত বেশি টেস্ট করবা তত বেশি রেজাল্ট জানা যাবে এবং সে ব্যাপারে তখন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। আমাদের টেস্ট নাই, টেস্ট কতগুলো করেছে তা সঠিক বলে মনে করছে না অনেকই। যেহারে টেস্ট বাড়ানোর দরকার সে হারে বাড়ছেন না। এই টেস্ট করে কি আর ১৬ কোটি মানুষের রোগ নির্ণয় করা যাবে?
এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ কথা বলেন।