বাল্যবিয়ে বন্ধ করল বালকরাই
ময়মনসিংহের ফুলপুরে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিলো স্কুল পড়ুয়া বালকরাই। ফুলপুর ক্লিন সোসাইটি নামে একটি সামাজিক সংগঠনের কয়েকজন সদস্যের তৎপরতায় বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পায় সাবিনা (১২) নামে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার পারতলা গ্রামে সাবিনার বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। পরে ফুলপুর ক্লিন সোসাইটির সদস্যরা তাদের ওই এলাকার এক বন্ধুর মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করে দেয় এবং ১৮ বছরের আগে সাবিনাকে বিয়ে না দেওয়া মর্মে একটি মুচেলকা আদায় করে।সাবিনা ওই গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের কন্যা। সে কাকনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সনে সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে স্থানীয় আল হুমাইরা (রা) মহিলা মযদরাসায় বিশেষ জামাতে (৬ষ্ঠ শ্রেণিতে) পড়তো।
ফুলপুর ক্লিন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহাত বলেন, প্রথমে আমরা ওই এলাকার একজন বন্ধুর মাধ্যমে বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানতে পারি। পরে সংগঠনের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে দ্রুত সেখানে গেলে কন্যা পক্ষের লোকজন আমাদের নিকট প্রকৃত ঘটনা গোপনের চেষ্টা করেন। তারা বলেন, এখানে এই নামের কোন মেয়েই নেই। বাল্যবিয়ের তো প্রশ্নই আসে না। পরে আশপাশের লোকজনের নিকট জিজ্ঞাসা করে যাচাই বাছাইয়ে বাল্যবিয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হই। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুল ইসলামকে অবহিত করি। পরে তিনিও স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের মাধ্যমে আমাদের সহযোগিতা করেন। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকারকে দায়িত্ব দেন। এক পর্যায়ে বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরলে কন্যাপক্ষ ভুল স্বীকার করে বরযাত্রীকে আসতে নিষেধ করে দেন ও ১৮ বছরের আগে বিয়ে না দেওয়া মর্মে আমাদের একটি মুচেলকা দেন।
এ সময় ফুলপুর ক্লিন সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আবির, কোষাধ্যক্ষ তাওকীর আহমাদ পান্না, উপজেলা শাখার সভাপতি জাহিদ হাসান জয়, প্রচার সম্পাদক নিহাদ আকন্দ, দপ্তর সম্পাদক নাজমুস সাকিব, সাবিনার দাদা নুরুল ইসলাম, চাচা আব্দুল খালেক ভুট্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।