করোনা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ইংল্যান্ডে চালু হচ্ছে ‘অ্যালার্ট সিস্টেম’
করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণের গতিপথ নিয়ে জনগণকে সতর্ক করতে নতুন ‘অ্যালার্ট সিস্টেম’ বা সতর্কতা ব্যবস্থা চালু করবে ইংল্যান্ড সরকার। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আজ রোববার এ বিষয়ে ঘোষণা দেয়ার কথা রয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, নতুন ব্যবস্থার আওতায়, বিদ্যমান উপাত্তের ভিত্তিতে ইংল্যান্ডে করোনা ভাইরাসের হুমকির মাত্রাকে এক থেকে পাঁচের মধ্যে নির্ধারণ করা হবে। রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা) করোনা সংক্রমণে জারি লকডাউন নিয়ে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে জনসনের। ওই বক্তব্যে তিনি নতুন এই ব্যবস্থার কথা জানাবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এছাড়া, নতুন একটি স্লোগানও উপস্থাপন করতে পারেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী। বিবিসি জানিয়েছে, জনসনের নতুন স্লোগানটি হচ্ছে, ‘স্টে অ্যালার্ট, কনট্রোল দ্য ভাইরাস, সেভ লাইভস’ (সতর্ক থাকুন, ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণ করুন, জীবন বাঁচান)।
বিবিসি জানায়, নতুন ব্যবস্থাটি কেবল ইংল্যান্ডেই প্রয়োগ করা হবে।
জনগণকে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি সম্পরররকে জানাতে যে ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়ে থাকে, করোনার সতর্কতা ব্যবস্থাটিও অনেকটা সেরকমই। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় হুমকির মাত্রা ধাপ-১ থেকে ধাপ-৫ এর মধ্যে নির্ধারণ করা হবে। জানা গেছে, নিজের ঘোষণায় ইংল্যান্ড বর্তমানে ধাপ-৪ এ রয়েছে বলে জানাতে পারেন জনসন। নতুন ব্যবস্থাটি প্রয়োগ করবে একটি নতুন ‘যৌথ বায়োসিকিউরিটি কেন্দ্র’। এতে দেশের বিভিন্ন অংশে ভাইরাসটির হুমকির মাত্রা আলাদাভাবে জানানো হবে। জনসন ঘোষণা দেয়ার পূর্বে এই ব্যবস্থাটি নিয়ে বৃটিশ সরকারের জরুরি কোবরা কমিটির এক বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। আগামীকাল সোমবার ব্যবস্থাটি নিয়ে পার্লামেন্টে প্রস্তাব তোলার ব্যাপারে আলোচনা করা হবে বৈঠকে।
এদিকে, দ্য সান অনুসারে, জনসন তার ঘোষণায় এমনটা জানাতে পারেব যে, যুক্তরাজ্য এখন করোনা মহামারির সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।