গাইবান্ধা জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদকে গ্রেফতার মির্জা আলমগীর এর নিন্দা ও প্রতিবাদ
অদৃশ্য আততায়ী করোনা ভাইরাস মহামারীর মরণছোবলে বাংলাদেশসহ সারা দুনিয়ার মানুষ মৃত্যুভয়ে আতঙ্কিত। এহেন শঙ্কিত পরিস্থিতিতে বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো যখন দেশব্যাপী দিন আনে দিন খায় নিরন্ন মানুষের প্রতি সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তখন সরকারী প্রশাসন নেতাকর্মীদের গ্রেফতারসহ বিভিন্ন কায়দায় জুলুম-নির্যাতন চালাতে হিংস্র হয়ে উঠেছে। গতকাল গাইবান্ধা জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপি’র সভাপতি ফারুক আহমেদকে ইফতার পূর্বসময়ে স্থানীয় বিএনপি’র ত্রাণ বিতরণ সংক্রান্ত একটি আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে কোন কারণ ছাড়াই পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার সেই হিং¯্রতারই বহি:প্রকাশ। পবিত্র রমজান মাসেও প্রতিহিংসার শিকার ফারুক আহমেদকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার, মে ৯, ২০২০এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে করোনা ভাইরাসের মহাদুর্যোগকালীন সময়ে দেশের খেটে খাওয়া গরীব মানুষদের পাশে দাঁড়ানো নয়, বরং সরকার বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার ও তাদের ওপর জুলুম নির্যাতন চালাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশের অসহায় মানুষের মধ্যে বিরাজমান হাহাকার অবস্থায় তাদের পাশে না দাঁড়িয়ে বরং বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে সরকার হিং¯্রতার পথ অবলম্বন করছে। আর এ কারণেই সরকারী মদদে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী দল দমনের লক্ষ্যে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও তাদের ওপর জুলুম নির্যাতন চালানোর অমানবিক খেলায় মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে। গাইবান্ধা জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপি’র সভাপতি ফারুক আহমেদকে গতকাল ইফতার পূর্বসময়ে গ্রেফতার সরকারের জুলুম নির্যাতনেরই নিরবচ্ছিন্ন অংশ।
আমি ফারুক আহমেদকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।”