৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে-ক্রসফায়ারে মৃত্যু ১০১ : আসক
এ বছরের বিগত চার মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ও ক্রসফায়ারে ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
শুক্রবার (৮ মে) সন্ধ্যায় আসকের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক (অ্যাডভোকেসি এবং নেটওয়ার্কিং) আবু আহমেদ ফজলুল কবির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আসকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চার মাসে গ্রেফতারের আগে ক্রসফায়ারে ৬১ জন, গ্রেফতারের পর ক্রসফায়ারে ২১ জন, গ্রেফতারের আগে শারীরিক নির্যাতনে ৩ জন, গ্রেফতারের পর শারীরিক নির্যাতনে ১০ জন, গ্রেফতারের আগে বন্দুকযুদ্ধে ২ জন, কাস্টডিতে অসুস্থ হয়ে একজন, কাস্টডিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। শরীরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতারের পর দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া এই চার মাসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক দু’জনকে গুম করার অভিযোগ উঠেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত চার মাসে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১০৫ জন। এদের মধ্যে সাতজন আত্মহত্যা করেছেন। প্রতিবাদ করায় সাতজনকে হত্যা করা হয়েছে। উত্ত্যক্তকারীদের শিকার হয়েছেন ৪৯ জন এবং হামলার শিকার ৪২ জন।
এছাড়া ৩৩৩ জন জন ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে শুধু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৫৪ জন, গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭৪ জন। এছাড়া পাঁচজনের ধর্ষণের ধরন উল্লেখ করা হয়নি।
চার মাসে সারা দেশে সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১২৭ জন নারী। এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন চারজন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত চার মাসে সারা দেশে নাগরিকদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ ও রহস্যজনক নিখোঁজ, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, সীমান্তে নির্যাতন ও হত্যার মতো অনেক ঘটনা ঘটেছে। তবে মার্চ মাসে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা লাভের অধিকার লঙ্ঘন, ডাক্তারি অবহেলা, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের অপর্যাপ্ত সুরক্ষা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্যের অধিকার নিশ্চিতকরণে পর্যাপ্ত উদ্যোগের অভাব, ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা, বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে।