শারীরিক অসুস্থতা কাটেনি খালেদা জিয়ার
শারীরিক অসুস্থতা এখনো কাটেনি, রোজা রেখে দিন কাটাচ্ছেন খালেদা জিয়া। বোন সেলিমা ইসলাম আজ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া কোয়ারেন্টাইনে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার শারীরিক অসুস্থতা এখনো কাটেনি, অগ্রগতি ধীরগতিতে হচ্ছে। এখনো তার হাত-পায়ে ব্যথা আছে, হাতের আঙ্গুল আগের মতোই বাঁকা আছে, ডায়াবেটিসও অনিয়ন্ত্রণে।
বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুলশানে নিজের বাসা ‘ফিরোজা‘য় আছেন। গত ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে ৬ মাস সাজা স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেয় সরকার।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি টিমের তত্ত্বাবধায়নে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। কয়েক সাপ্তাহ পর পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে দেখে যান। সর্বশেষ গত সাপ্তাহে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম বেগম জিয়াকে দেখে গেছেন।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, খালেদা জিয়া এখন বেশিরভাগ সময় কোরআন তেলোয়াত ও তসবিহ পাঠসহ ইবাদত বন্দেগি মধ্যে থাকেন।
এছাড়া টেলিফোনে দুই ছেলের স্ত্রী ও নাতনিদের সাথেও কথা বলেন।
লন্ডন থেকে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান তার চিকিৎসার সব কিছু তত্ত্বাবধান করছেন বলে জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বিশেষজ্ঞ টিমের সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
সেলিমা ইসলাম বলেন, অসুস্থতা থাকলেও উনি রোজা রাখছেন। প্রতিদিন আমরা দুই বোন একসাথেই ইফতার করি। আর কেউ থাকে না। রাতে খাবারও একসাথেই হয়। আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী (শামীম ইস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা) বিকালে এসে সব কিছু ঠিক করে দিয়ে যায়।
৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানান, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। দীর্ঘ সময় ফিজিওথ্যারাপি, চিকিৎসার ফলোআপ এবং সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে মধ্যে তাকে থাকতে হবে।
কারাবন্দী থাকা অবস্থায় গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানোর একটা দাবি পরিবারের পক্ষ থেকে ছিলো সে বিষয়ে জানতে চাইলে সেলিমা রহমান বলেন, দেশের বর্তমান যে সার্বিক পরিস্থিতি, বৈশ্বিক যে অবস্থা এখন তো সেটা তো সম্ভব নয়। সেজন্য তাকে বাসায় চিকিতসা নিতে হচ্ছে। আর যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন, সেই টিমে যারা সদস্য তারা সকলে এক্সপার্ট ফিজিশিয়ান।
গত ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য় উঠেন অসুস্থ খালেদা জিয়া। বাসার দোতলায় চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে তিনি ১৪ দিন কোয়ারেইন্টাইনে ছিলেন। ওই ১৪ দিন শেষ হওয়ার পর থেকে এখনো তিনি কোয়ারেইন্টানেই আছেন।
গুলশানের ‘ফিরোজা’র গেইটে নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, বাসায় প্রবেশাধিকার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। শুধুমাত্র চিকিৎসক টিমের সদস্যবৃন্দ এবং কয়েকজন নিকট স্বজনের বাসায় প্রবেশাধিকার রয়েছে।