‘তুমি রবে নিরবে হৃদয়ে মম’
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সম্পূর্ণ ঘরোয়া পরিবেশে পালিত হলো বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯ তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৯১ সাল থেকে সরকারি ভাবে শাহজাদপুরে প্রতি বছর সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২৫, ২৬,২৭ বৈশাখ ৩ দিনব্যাপী রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী নানা আয়োজনে পালন করা হলেও এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে সরকারিভাবে পালিত হলো না দিবসটি।
এক কথায় বলা যায়, নিরবে নিভৃতেই কেটে যাচ্ছে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীর এ দিবসটি।
আজ ২৫শে বৈশাখ, রবীন্দ্রনাথের ১৫৯তম জন্মজয়ন্তী। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সারাদেশ ব্যাপী কোন প্রকার সভা, সমাবেশ, অনুষ্ঠান সরকারিভাবে বন্ধ থাকায় কবি গুরুর স্মৃতি বিজড়িত শাহজাদপুরের কাছারী বাড়ী ভক্ত-অনুরাগী শূন্য ছিল কবির জন্মদিনে। প্রতি বছর কবি গুরুর জন্মদিনে দেশ ও বিদেশ থেকে কবি গুরুর ভক্ত-অনুরাগী ও গবেষকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে থাকতো কবি গুরুর জন্মজয়ন্তীর ৩ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালায়।
এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে বসতো রবি মেলা। সরকারি এ অনুষ্ঠানমালা না থাকলেও উপজেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন সন্মিলিতভাবে শাহজাদপুর নজরুল সাংস্কৃতিক পরিষদ’ এর মনিরামপুরস্থ কার্যালয়ে শারীরিক দূরত্ব বাজায় রেখে ঘরোয়া পরিবেশে পালিত হলো বিশ্ব কবির ১৫৯ তম জন্মজয়ন্তী। সন্ধ্যা ৭টা থেকে ঘন্টাব্যাপী এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীবৃন্দ গান পরিবেশন করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে কবির লেখা কবিতাও আবৃতি করেন কয়েকজন। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের মধ্যে ছিলেন- মোঃ বায়েজিদ হোসেন, এ. এ. শহিদুল্লাহ্ বাবলু, প্রভাষক শাহ্ আলম, কোরবান আলী লাভলু, নাজমুল ইসলাম মিলন প্রমূখ।
কবিতা আবৃতির পাশাপাশি অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য ও বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব কাজী শওকত হোসেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ মোঃ শামসুজ্জোহা জানান, করোনার মহামারির কারণে সারা দেশে সকল অনুষ্ঠানাদি বন্ধ রয়েছে। যে কারণে এবারে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার নির্দেশনা না দেয়ায় কবির জন্ম উৎসব সরকারিভাবে পালন করতে না পারায় আমরাও দুঃখ প্রকাশ করছি।
এ ব্যাপারে শিল্পকলা একাডেমির সদস্য, বিশিষ্ট নাট্য শিল্পী কাজী শওকত হোসেন জানান, কবির স্মৃতি ধন্য শাহজাদপুরে ইতিপূর্বে এত নিভৃতে এই দিবসটি পালন করতে আমি কখন দেখি নাই। আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মীদের মনে চরম কষ্ট অনুভব হচ্ছে। তবে আমরা ঘরোয়াভাবে কবি গুরুর জন্ম-জয়ন্তী পালন করতে পারায় নিজেদের মধ্যে খুব আনন্দবোধ করছি।