শার্টডাউন না তুলতে বিশেষজ্ঞরা বললেও এতে প্রধানমন্ত্রীর ভ্রুক্ষেপ নেই : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। আজকে রাস্তাঘাটে গাড়ি চলছে বিভিন্ন যানবাহন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন গার্মেন্টস খুলে দেওয়া হয়েছে। শত শত হাজার হাজার লোক যাচ্ছে এরমধ্যে কত লোক আক্রান্ত হবে। তাদের না থাকবে চিকিৎসা, না থাকবে বেঁচে থাকার কোনো নিশ্চয়তা। মৃত্যুর দিকে এই মানুষদেরকে ঠেলে দিচ্ছে এই সরকার।
রহুল কবির রিজভী বলেন, যখন সংক্রমণে মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন সরকার লকডাউন বা শার্টডাউন খুলে দিলেন। কারণ ওনার কাছে নাকি অর্থনীতি আগে। বড় বড় ব্যবসায়ীদের স্বার্থ আগে। মানুষের জীবন চলে যাচ্ছে ওটা বড় কথা নয়। মানুষ মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে রাস্তাঘাট নদীতে।
বিএনপির এ নেতার প্রশ্ন, আমাদের যে খাদ্য ছিল তা দিয়ে কি আমরা 2-3 মাস গরিব মানুষদের চালাতে পারতাম না। আমরা মানুষের বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য পৌঁছাতে পারতাম না নিশ্চয়ই পারতাম।আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনা বাহিনীকে দিয়ে যারা গরিব মানুষ গার্মেন্টসে চাকরি করে, যারা দিন আনে দিন খায়, রিকশাওয়ালা তাদের সবাইকে আমরা দিতে পারতাম। কিন্তু সরকার ঐদিকে যায়নি। সরকারের কথা হচ্ছে মানুষ মরুক আমার যায় আসে না। আমার হাতে টাকা থাকলেই বড় কথা।
রিজভী বলেন, ডাক্তার মারা যাচ্ছে নার্স মারা যাচ্ছে। এর মধ্যে যারা প্রতিবাদ করছে তাদের চাকরীচ্যুত বা বরখাস্ত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ডঃ আব্দুল্লাহ বলেছেন এটা ঠিক হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী একটা কমিটি করেছেন করোনা প্রতিরোধের জন্য তা হচ্ছে বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটি তারা বলছে আপনি পুনর্বিবেচনা করুন শার্টডাউন খুলবেন না। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে করোনা ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার গাজীপুরে যুবদলের ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে রহুল কবির রিজভী একথা বলেন।