ঘরেই তৈরি করুন রসগোল্লা
ইফতারে রসগোল্লা খেতে ইচ্ছে করতেই পারে, কিন্তু ব্যাপারটা এখন সহজ নয়। মিষ্টি কিনতে পাওয়া গেলেও যখন তখন বাজারে ছোটা একদমই ঠিক নয়। বরং রেসিপি জানা থাকলে ঘরেই তৈরি করে নেয়া সম্ভব। রসগোল্লা তৈরি কঠিন কিছু নয়। চলুন জেনে নেয়া যাক-
উপকরণ:
চিনি
দুধ
লেবু অথবা টকদই
পানি।
প্রণালি:
চুলায় একটি প্যান বসান। তাতে লিটারখানেক দুধ ঢেলে দিন। চুলা জ্বালিয় দুধ ফোটানো শুরু করুন। এবার একটি বাটিতে টকদই নিন। এক লিটার দুধের জন্য ২৫০ গ্রাম টকদই নিন। দুধ ফোটা শুরু হলে টক দই ঢেলে দিন। এক্ষেত্রে কেউ লেবু বা ভিনিগারও ব্যবহার করতে পারেন।
কাঠের খুন্তির সাহায্যে ভালোভাবে নেড়ে নিন। একটু অপেক্ষা করুন। পুরো পানি কেটে গেলে বুঝবেন ছানা তৈরি হয়ে গেছে। মনে রাখবেন রসগোল্লার ছানা বেশিক্ষণ চুলায় রাখা যাবে না। ছাঁকনিতে ঢেলে দিন। পানি আর ছানা আলাদা হয়ে যাবে। ব্যস ছানা তৈরি হয়ে গেল। তুলে একটি থালায় রাখুন। অথবা কাপড়েই ঝুলিয়ে রাখুন, যাতে পানি ঝরতে থাকে এবং ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়।
ছানা ঠান্ডা পানিতে ধোবেন না। মনে রাখবেন, পানি ঢুকলে স্পঞ্জি রসগোল্লা তৈরি হবে। তবে চিরায়ত রসগোল্লা তৈরির জন্য ঠান্ডা পানি না দেয়াই ভালো। থালায় রাখলে বা কাপড়ে ঝুলিয়ে রাখলে বাকি যে পানি থাকবে সেটাও ঝরে যাবে।
রসগোল্লার গোল্লার জন্য ছানা লাগবে তা তৈরি। এবার রসের পালা। এখানেও যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন। নয়তো সবটাই জোলো হয়ে যাবে। প্রথমে একটি পাত্রে পানি নিন। তাতে চিনি দিন। মোটামুটি পাঁচ কাপ পানির জন্য আড়াই কাপ চিনি দরকার। এবার ফোটানো শুরু করুন। মাঝে মধ্যে চামচ দিয়ে নাড়তে থাকুন। রস যেন খুব ঘন না হয়ে যায়।
ছানা থেকে পানি ঝরে গেলে একটি পাত্রে নিন। এবার এক চা চামচ সুজি ও চিনি ছানার সঙ্গে ভালো করে মাখিয়ে নিন। মিশ্রণটি ভালো করে মাখাতে থাকুন। অনেকটা ময়দা মাখানোর কায়দায়। অনেকেই হাতের তেলো দিয়ে জোরে জোরে ঘষতে থাকেন। তার দরকার নেই। সাধারণভাবেই মিনিট চারেক মাখানোর পরই মণ্ড তৈরি হয়ে যাবে। এবার সেগুলো থেকে ছোট ছোট বল তৈরি করুন।
ওভেনের উপর রস তো বসানোই ছিল। ফুটন্ত সেই রসে এবার বলগুলো ছাড়তে থাকুন। এই সময় ওভেনের আঁচ যেন বাড়ানো থাকে, তা মাথায় রাখবেন। আর পাত্রের মাথায় একটা ঢাকনা দিয়ে দিন। পাত্রের ভিতর তৈরি হতে থাকুক রসগোল্লা। মিনিট সাত থেকে দশ পরে ঢাকনা খুললেই দেখবেন, ছানার বলগুলো রসে টইটম্বুর হয়ে গেছে। এবার একটু নেড়েচেড়ে, উপরের পিঠগুলো ঘুরিয়ে দিয়ে ফের ঢাকা দিন। আঁচটা এইসময় একটু কমিয়ে দেবেন। ঢিমে আঁচে আরও বেশকিছুক্ষণ, প্রায় মিনিট পনেরো বিশ রেখে দিন। এবার তৈরি রসগোল্লা।