সালথায় আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ : ইউপি সদস্যসহ আহত ১৭
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় দুই দলের সংঘর্ষে ইউপি সদস্যসহ ১৭ জন আহত হয়েছেন। এসময় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটও হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া-উজিরপুর গ্রামে ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যদুনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন মিয়ার সাথে একই গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থক রফিকুল মোল্যার মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে আজ এ সংঘর্ষ হয়।
খবর পেয়ে ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা) সার্কেল এফ এম মহিউদ্দিন ও সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সহ পুলিশ সদস্যরা সেখানে যান। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২টি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
এব্যাপারে রফিকুল মোল্যা বলেন, বুধবার বিকেলে আমার সমর্থক উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নুরুজ্জামান টুকু ঠাকুরের ছেলে ডালিম ময়েনদিয়া থেকে বাড়ি ফেরার সময় আলমগীর মিয়ার লোকজন তার উপর আক্রমণ করে। এরই সুত্রধরে সকালে সংঘর্ষ বাধে বলে শুনেছি। এতে তার দলের তেহারুন নেছা, সাজ্জাদ শেখ, বক্কার শেখ, আছাদ শেখ ও ইদ্রিস ফকিরসহ ৮ জন আহত হন।
আলমগীর হোসেন মিয়া বলেন, রফিকুলের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা সকালে উজিরপুর গ্রামে আমার সমর্থকদের ১৪/১৫টি বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। সেখান থেকে এসে আমার ইটের ভাটা ও আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। হামলা ঠেকাতে গেলে ইউপি সদস্য সিরাজ বিশ্বাস, মানোয়ার হোসেন মিয়া, পান্নু মোল্যা, সাদি মোল্যা, রুবি বেগম, সিরাজ শেখসহ ৯ জন আহত হয়।
ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও (নগরকান্দা-সালথা) সার্কেল এফ এম মহিউদ্দীন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এলাকা শান্ত রাখতে পুলিশ মোতায়েন আছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এব্যাপারে কোনো মামলা দায়ের হয়নি বলে তিনি জানান।