রোজাদারের পেট ঠান্ডা রাখবে যেসব খাবার
চলছে রমজান মাস। সিয়াম সাধনার এই মাস রোজাদারের জন্য মুত্তাকি হ্ওয়ার পথ খুলে দেয়। আবার এ সময়টাতেই চলছে বৈশাখের গরম। গরমের কারণে সব ধরনের খাবার হজমও হয় না ঠিকভাবে। তাই এই সময়ে পেট ঠান্ডা রাখা খুবই জরুরি।
শুধু তাই নয়, পেট ঠান্ডা থাকলে শরীরও ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকবে। হজম ভালো হলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
যেসব খাবার আপনার পেট ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করবে দেখে নিন-
ডাবের পানি
যেহেতু গরম তাই ইফতারে গলা ভেজানোর জন্য ঠান্ডা কিছু পান করতে ইচ্ছে করতে পারে। সেক্ষেত্রে কোমল পানীয় একদমই নয়। বরং ডাবের পানি খান তার বদলে। ডাবের পানি শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে, আর পেট ঠান্ডা রাখে।
ডাবের পানিকে বলা হয় ন্যাচারাল এনার্জি ড্রিংক। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ন্যাচারাল ইলেক্ট্রোলাইট, যা আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে, পানির পরিমাণ ঠিক রাখে আর তার ফলে আমাদের শরীর ঠান্ডা থাকে, ক্লান্তিভাবও অনেক কম আসে।
লেবু
ক্লান্তি দূর করতে, এনার্জি ফিরিয়ে আনতে আর শরীর ঠান্ডা রাখতে লেবুর কিন্তু জুড়ি মেলা ভার। গরম পানিতে পাতিলেবুর রস খেলে শরীর টক্সিন মুক্ত হবেই।
শসা
শসায় পানির পরিমাণ অনেকটাই। তাই ইফতারে শসা খেতে পারেন। এমনি হোক বা সালাদের সঙ্গে হোক, আপনার খাদ্য তালিকায় শসা কিন্তু অবশ্যই রাখতে হবে। শরীর আর পেট ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি শসা ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
তরমুজ
এই সময়ের ফল তরমুজ। এতে আছে প্রচুর পানি, যা আমাদের শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক রাখে। ঘামের সঙ্গে যে পানি শরীরের বাইরে চলে যায় আর তার ফলে শরীর যে ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে, সেই ঘাটতি কিন্তু তরমুজ মিটিয়ে দেয় আর শরীরকে ভিতর থেকে খুবই ঠান্ডা রাখে। পাশাপাশি এতে আছে ভিটামিন আর মিনারেলস, তাই গরমে তরমুজ অবশ্যই খেতে হবে।
ডালিম
ডালিমও কিন্তু এই গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে খুব ভালো কাজ করবে।
ইফতারে ডালিমের রস করে খেয়ে নিন। ফ্রিজের ঠান্ডা পানি না খেয়ে এটি খেতে পারেন। দেখবেন পেট আর মন দুইই জুড়িয়ে গেছে।
পুদিনা পাতা
গরমে পুদিনা পাতা যে কত ভালো কাজ দেয় সেটা আপনারা জানেন অনেকেই। আমরা সবাই অন্য কিছু খাই বা না খাই, পুদিনা পাতার শরবত কিন্তু খেয়েই থাকি। ইফতারে কিংবা ইফতারের পরে পুদিনা পাতার শরবত খেয়ে নিন। সারাদিন শরীর ঠান্ডা থাকবে। পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
লাউ
আমাদের শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখে এই সবজি। চিকিৎসকেরাও লাউ খেতে বলেন শরীর ঠান্ডা রাখতে। যে ভবে খুশি লাউ রান্না করে খান। এই গরমে শরীর ঠিক রাখতে তাই অবশ্যই লাউ খান।
টক দই
রোজা আর গরম, হজমে অল্প-বিস্তর সমস্যা হতেই পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে টক দই। টক দই খাবার যেমন হজম করায়, তেমনই শরীরের ভিতরের তাপকে কম করতে সাহায্য করে। তাই রোজ খাবারের শেষে দুপুর বেলা টক দই কিন্তু খেতেই হবে।