করোনার মধ্যেও বিএনপি কর্মীদের গ্রেফতারে বেপরোয়া সরকার : ফখরুল
সংকটময় পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সহায়তা দিতে দেশব্যাপী তৎপর বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে সরকারি প্রশাসন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৫ মে) বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। এহেন সংকটময় পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সহায়তা দিতে দেশব্যাপী যখন বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো তৎপর হয়ে উঠেছে তখন সরকারি প্রশাসন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার এবং নানা কায়দায় জুলুম-নির্যাতন চালাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কারণ নিরন্ন ও অভুক্ত মানুষ যেন কোনো ত্রাণ সহায়তা না পায়। এর অংশ হিসেবে গত সোমবার (৪ মে) রাত ১২টা ৪০ মিনিটে মাগুরা জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিমকে কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, করোনার ব্যাপক বিস্তারে বাংলাদেশের জনগণ এখন গভীরভাবে আতঙ্কিত। ঢাকা মহানগরীসহ দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে লকডাউনের কারণে এখন দুর্ভিক্ষাবস্থা। চারিদিকে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ একমুঠো খাবারের জন্য হাহাকার করছে, খাদ্যাভাবে শিশুদের বুকফাটা আর্তনাদ আকাশ-বাতাস ভারী করে তুলেছে। চলমান এই দুর্বিষহ অবস্থায় অসহায় মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করতে যখন দলমত নির্বিশেষে সকলে নিজের সামর্থ অনুযায়ী পাশে থাকা দরকার, তখন সরকার সেই উদ্যোগ না নিয়ে বরং বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার ধারাবাহিক কর্মসূচি পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে।
‘সেজন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী দল দমনের লক্ষ্যে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও জুলুম নির্যাতন চালাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাগুরা জেলা ছাত্রদল সভাপতি আব্দুর রহিমকে বিনা কারণে গ্রেফতার সরকারের সেই জুলুম নির্যাতনেরই নিরবচ্ছিন্ন অংশ। আমি আব্দুর রহিমকে গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি’—বিবৃতিতে বলেন ফখরুল।