ত্রাণ নিয়ে সারাদেশে চরম অনিয়মের অভিযোগ রিজভীর
ত্রাণ বিতরণে সারাদেশে চরম অনিয়ম চলছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কয়েক কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছেন। ভয়াবহ মহামারি করোনা ভাইরাসের নগ্ন থাবার দমবন্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও মুখ চিনে চিনে সরকারি দলের লোকজনদের ত্রাণ সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। অধিকাংশ জায়গায় প্রকৃত অসহায় দুস্থরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
রোববার (৩ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভীর অভিযোগ, ত্রাণ বা খাদ্য সহায়তার জন্য অনেকে ছুটে বেড়ালেও পাচ্ছেন না। ফলে অসংখ্য কর্মহীন দরিদ্র মানুষ নিত্যদিন উপোস থাকছেন। বিদ্যমান মানবিক বিপর্যয়েও ত্রাণ চুরি, আত্মসাৎ এবং লুণ্ঠন যেন নিরেটভাবে গাঁথা। এসব অপকর্ম নিয়ে তথ্যবহুল রিপোর্ট করার কারণে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠাসহ চিকিৎসা জরুরি অবস্থা ঘোষণা, করোনা মোকাবেলায় রোডম্যাপ প্রকাশ, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ত্রাণ বিতরণ ও খাদ্য ঝুঁকি নিয়ে প্রস্তাবনা দেওয়া হলেও সরকার তাতে গুরুত্ব দিচ্ছে না। আমরা বলেছি, জাতীয় ঐক্যে গড়ে ওঠা সম্মিলিত প্রয়াস ও মনোবল আরো শক্তিশালী হবে এবং দুর্যোগ থেকে উত্তরণ সহজ হবে। ভয়াবহ সংকট মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্য অনিবার্য। কিন্তু সরকার জাতীয় ঐক্য প্রত্যাখ্যান তো করেছেই, সেই সাথে উপহাসও করছে।’
‘সরকারের চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। পূর্ব প্রস্তুতির অভাবে চিকিৎসা উপকরণ, রোগ-নির্ণয়, চিকিৎসা ব্যবস্থা কিছুই নেই আমাদের। দীর্ঘ সময় পেলেও অপরিণামদর্শী আহাম্মকির কারণে বাংলাদেশে করোনার আঘাত এখন ভয়ঙ্কর রুপ নিয়েছে।’
‘বিএনপির রাজনীতি মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত, তারা জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি’ তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ‘তিনি এই কথাগুলো সজ্ঞানে না অজ্ঞানে বলেছেন তা ষ্পষ্ট নয়। তার নিশ্চয়ই জানার কথা, সরকারি দলের বাধা, প্রশাসনের বাধা ও মামলা-গ্রেফতারের মধ্যেও দুস্থ, অসহায় ও কর্মহীন মানুষকে সাহায্য সহায়তা করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। কিন্তু বিএনপি কৃষকের ধানক্ষেতকে বিনোদনের জায়গা বানায়নি। ফটোসেশন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা পাকা ধানের বদলে কাঁচা ধান কেটে জাতির কাছে যে তামাশার পাত্র হয়েছেন, সেটি বেমালুম ভুলে যান তথ্যমন্ত্রী।’
‘ধানক্ষেতে যতো না আওয়ামী লীগ নেতার নেতার উপস্থিতি তার চেয়ে ক্যামেরার সংখ্যাই বেশি। বিএনপি তো আর সরকারি ত্রাণের লুটপাটের উৎসবের সঙ্গে জড়িত নয়, তাই তথ্যমন্ত্রীর বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রম চোখে পড়ছে না।’