আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবেদন
বিশ্ববরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তি চেয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
প্রফেসর আহসান ইমরোজের সই করা ওই বিবৃতিতে তারা বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে দেশে বিদেশে কুরআনের তাফসির পেশ করেছেন। জাতীয় সংসদে দু’বার নিজ এলাকা থেকে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
তারা বলেন, বহু মানুষ তার তফসির শুনে ইসলামী জীবন যাপনে উৎসাহিত হয়েছেন। লাখো তরুণ আলোর দিশা পাওয়ার পাশাপাশি হয়েছেন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ। পেয়েছে আল্লাহর পথে চলার প্রেরণা। দেশ-বিদেশের বহু মানুষ হৃদয় দিয়ে তাকে ভালোবাসেন এবং অতীতে ইসলাম ও দেশের প্রতি অসামান্য অবদানের কারণে তাঁর মুক্তির প্রহর গুণছেন।
শিক্ষকেরা বলেন, আমরা শিক্ষকবৃন্দ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, তিনি আজ ১০ বছর যাবৎ কারাগারে বন্দী রয়েছেন। বর্তমানে তার বয়স ৮১ বছর। তিনি বিগত ৪০ বছর যাবত ডায়াবেটিক রুগী। তিনি দীর্ঘদিন যাবত হৃদরোগেও আক্রান্ত। তার হার্টে ৫টি রিং বসানো। তিনি আর্থাইটিস রোগেও আক্রান্ত। যে কারনে তার হাঁটু ও কোমরে আছে তীব্র ব্যথা। এছাড়া বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যাতেও তিনি আক্রান্ত। এহেন অবস্থায় তার সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করতে মুক্ত জীবনের কোনো বিকল্প নেই।
তারা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমনে মানুষের মাঝে চরম উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় আল্লামা সাঈদীকে নিয়ে মানুষ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। মানুষ তার মুক্তি চায়। ইতোমধ্যে অনেক দেশ কারাবন্দীদের মুক্তি দিয়েছেন। আমরা অবহিত হয়েছি যে, আমাদের দেশেও দীর্ঘকারা ভোগকারী ব্যক্তিদের মুক্তির উদ্যোগ নিতে প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন। এতে গোটা বিশ্ববাসীর সাথে আমরাও আশান্বিত হয়েছি যে, সর্বজন গ্রহণযোগ্য একজন ইসলামিক চিন্তাবিদ ও বয়োবৃদ্ধ দেশপ্রেমিক কারাবন্দীকে সরকার মুক্তির উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
তারা বলেন, এহেন পরিস্থিতিতে ধর্মীয়, মানবিক ও বয়সের বিবেচনায় এবং বিরাজমান বৈশি^ক করোনা মহামারী সংক্রমণ থেকে উত্তরোণের লক্ষ্যে আল্লাহ তা’য়ালার রহমতের প্রত্যাশায় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মুক্তি দেয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
নিম্নোক্ত শিক্ষকেরা বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন
প্রফেসর মুজিবুর রহমান, সাবেক কোষাধক্ষ্য এশিয়ান ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশ; প্রফেসর আসিফ মিজান হেড অব দ্যা ডিপার্টমেন্ট অব জিপি; প্রফেসর মো: আবদুল্লাহ সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক; প্রফেসর মো: মুসা সাবেক প্রফেসর গণিত বিভাগ, আইইউবি; প্রফেসর ড. দেওয়ান এম এ সাজ্জাদ হোসাইন, সাবেক কমনওয়েলথ স্কলার; প্রফেসর ড. আমিনুর রহমান মজুমদার, সোয়েল, ওয়াটার এনভারমেন্টাল সাইয়েন্স; প্রফেসর কামরুল আহসান চৌধুরী সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ; প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ফার্মেসী অনুষদ; প্রফেসর ড. ফজলুর রহমান, আরবি বিভাগ; প্রফেসর ড.আবদুল মাহবুদ, আরবি বিভাগ; প্রফেসর মোজাম্মেল হক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ; প্রফেসর এটিএম ফজলুল হক জিওলজি বিজ্ঞান বিভাগ; প্রফেসর ড. আবদুল খালেক, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি