ত্রাণের ১৫ টন চাল আত্মসাৎ, আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সরকারি বরাদ্দের ১৫ টন ত্রাণের চাল আত্মসাতের অভিযোগে টইটং ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার রাতে মামলাটি করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম।
পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) আমিনুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণের জন্য ১৫ টন চাল প্রকল্পের চেয়ারম্যান হিসেবে টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী খাদ্যগুদাম থেকে উত্তোলন করেছেন।
গত ৬ এপ্রিল চালগুলো উত্তোলন করা হলেও তিনি মাস্টাররোলসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দেননি। চালগুলো কোথায় আছে সে বিষয়েও কোনো সুরহা দেননি। যার কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
জানা যায়, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখা থেকে ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই মানবিক সহায়তা হিসেবে ৪০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে ২৫ টন চাল বিলি করা হয়েছে।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর, রিকশাচালক ও অসহায় দুঃস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণের জন্য গত ৩১ মার্চ টৈটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী অনুকূলে ১৫ টন চাল উপবরাদ্দ দেওয়া হয়।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাঈকা সাহাদাত স্বাক্ষরিত ওই বরাদ্দকৃত চালের কোনো হদিস মেলেনি এখনো। ত্রাণের চাল গায়েবের বিষয়টি তদন্ত করতে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল আফসার পেকুয়ায় আসে।
তদন্তের বিষয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, পেকুয়ায় তদন্তে এসে সরকারিভাবে বরাদ্দের কাগজ বা নথি পর্যালোচনা করেছেন।
টৈটং চেয়ারম্যান দুই দফায় চাল উত্তোলন করেছেন। কিন্তু তিনি বিতরণের কোনো তথ্য দেননি বা চালগুলো করেছেন সে বিষয়ে এখনো কিছু জানাননি।
পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জানান, ১৫ টন ত্রাণের চাল আত্মসাতের অভিযোগে পেকুয়ার পিআইও বাদী হয়ে গতকাল থানায় এজাহার দায়ের করলে সেটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার একমাত্র আসামি চেয়ারম্যান জাহেদকে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।