চাল আত্মসাতের ঘটনায় চেয়ারম্যান-দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা
জেলেদের ভিজিএফের চাল আত্মসাতের ঘটনায় শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- গোসাইরহাট উপজেলার কুচাইপট্রি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বৈখোলা গ্রামের আবুল হাশেম ব্যাপারীর ছেলে বিএম নাসির উদ্দিন স্বপন (৫০), ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও কুচাইপট্টি ইউনিয়নের মশুরগাঁও গ্রামের মোকলেছ ব্যাপারীর ছেলে মোফাচ্ছেল হোসেন ব্যাপারী (৩৩) এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য বিশকাটালি গ্রামের হাকিম ব্যাপারীর ছেলে শামীম ব্যাপারী (৪৫) ।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের সহকারী পরিচালক কমলেশ মন্ডল মামলাটি করেন। জেলেদের চাল কম দিয়ে ৫৩ বস্তা ভিজিএফের চাল আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা হয়েছে। মামলার বাদী নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কমলেশ মন্ডল বলেন, চাল আত্মসাতের ঘটনায় কুচাইপট্টি ইউপি চেয়ারম্যান ও দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলাটি করেছি। আগামীকাল ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুর আদালতে মামলার প্রাথমিক তথ্য জমা দেয়া হবে।
জানা যায়, গোসাইরহাট উপজেলায় জাটকা ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকায় দুই হাজার ৪৪৩ জেলেকে ভিজিএফের চাল দেয়া হয়। এর মধ্যে কুচাইপট্টি ইউনিয়নের ৬৯২ জন জেলের প্রত্যেকের জন্য ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয়া হয় । রোববার (২৬ এপ্রিল) কুচাইপট্টি ইউনিয়নের জেলেরা ৪০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। কিন্তু জেলেদের চাল কম দিয়ে ৫৩ বস্তা চাল আত্মসাৎ করেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি দুই সদস্য।
বিষয়টি জানতে পেরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৫৩ বস্তা চাল উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলমগীর হুসাইন। এ সময় চাল আত্মসাতের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ইউপি সদস্য মোফাচ্ছেল হোসেন ব্যাপারীকে আটক করে গোসাইরহাট থানা পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান বিএম নাসির উদ্দিন স্বপন ও ইউপি সদস্য শামীম ব্যাপারী পলাতক রয়েছেন।