করোনাভাইরাস বিশ্বমহামারি বিএনপি ইতোমধ্যে সাত লক্ষ পরিবারে খাবারসামগ্রী পৌঁছিয়েছে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা আলমগীর বলেছেন, তথ্যমন্ত্রী সাহেব আমাদের গালিগালাজ করেছেন এবং বলেছেন যে, আমরা নাকি শুধুমাত্র কথাই বলছি, আমরা কোনো কাজ করছি না। আমরা বিরোধী দল হিসেবে ১২/১৩ বছর তাদের নির্যাতনের পরেও আমরা যে কাজটুকু করেছি আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি যে, আমরা তাদের দল থেকে অনেক বেশি কাজ করেছি। ইতোমধ্যে আমরা ৭ লাখ পরিবারের কাছে আমরা ত্রাণ পৌঁছিয়ে দিয়েছি আমাদের ত্রাণ নিয়ে সীমিত শক্তির মধ্য দিয়ে। প্রতিদিনই আমাদের এই সংখ্যা বাড়ছে এবং এটা আরো বাড়বে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সরকারের প্রতি আহবান রেখে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আসুন এটা এখন রাজনৈতিক বির্তকের সময় নয়, এটা এখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার সময় নয়। অহংকার এবং আত্মম্ভরিতা বাদ দিয়ে আসুন সমগ্র জাতিকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করি, ঐক্যবদ্ধ করে সমগ্র জাতিকে করোনা ভাইরাসের যে আগ্রাসন সেই আগ্রাসন মোকাবিলা করার জন্য আমরা চেষ্টা করি। সেই উদ্যোগ আপনারা গ্রহণ করুন। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, সরকার সেটা করছেন না, করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি না। কারণ জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহিতা নেই।
শনিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২০, দুপুরে, গুলশান বিএনপি চেয়ারপার্সন এর রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল — বিএনপি আয়োজিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে গুম-খুন হওয়া এবং নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেয়া ঈদ উপহার প্রদানে অনুষ্ঠানের বিএনপি মহাসচিব মির্জা আলমগীর এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ দলের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগেই জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য লিফলেট বিলি করেছি, মাস্ক বিতরণ করেছি। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ও ড্যাব চিকিৎসক-স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য পিপিই দিয়েছে, হটলাইন চালু করেছে রোগীর পরামর্শ দেয়ার জন্য। আমরা ৮৭ হাজার কোটি টাকার অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম এটা বিবেচনা করা হোক। যেদিন আমরা প্যাকেজ ঘোষণা করি ওইদিন সরকারি দলের কয়েকজন নেতা আমাদের যাচ্ছেতাই তিরস্কার করেছে। অথচ তার পরের দিনই প্রধানমন্ত্রী আবার ৭৩ হাজার কোটি টাকার একটা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। পরে অবশ্য এটাকে ৯৫ হাজার কোটি টাকা করেছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই ৯৫ হাজার কোটি টাকার যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন তার মধ্যে ৭৭ হাজার কোটি প্রণোদনা ব্যাংক ঋণ। মাত্র ১৬ হাজার কোটি টাকা সরকারের বাজেট ও সরকারি কোষাগার থেকে যাচ্ছে। এসব আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। এর জবাবও সরকার দিচ্ছে না।