পবিত্র মাহে রমজান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান’র বাণী
“পবিত্র মাহে রমজান সমাগত। এ পবিত্র মাস সমগ্র মুসলিম উম্মাহ’র জন্য রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস হিসেবে সম্মানিত। তাই মুসলিম উম্মাহ পরম করুণাময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি লাভে নিজেদের নিয়োজিত রাখতে সচেষ্ট হন।
বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মুসলমান রমজান মাসে সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য আত্মার পরিশুদ্ধির প্রশিক্ষণে নিয়োজিত হয়। রমজান মাসে গুণাহ বা পাপ বিমোচিত হয়, পূণ্য বা নেয়ামত বৃদ্ধি পায়। সারাদিন সকল ধরনের পানাহার থেকে মুক্ত হয়ে মোমিন মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করেন। মহান আল্লাহর অসংখ্য নেয়ামতের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নেয়ামত হলো কোরআন মজিদ। এই রমজান মাসেই কোরআন মজিদ নাজিল হয়েছিল। তাতে রমজানের নিজস্ব ফজিলতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পবিত্র কোরআন মজিদের ফজিলত।
হিংসা-বিভেদ, অন্যায়, জুলুম, অবিচার এবং লোভ লালসাসহ সকল ধরনের পাপকাজ থেকে বিরত থাকার এক মহান শিক্ষা দেয় মাহে রমজান। এ শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে নিজেদেরকে পবিত্র মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদেরকে ব্রতী হতে হবে। রমজান মাস সমবেদনা ও সহযোগিতা প্রদর্শণের মাস এবং এটি সবর ও ধৈর্যের মাস। মাহে রমজানের ফজিলত ও মর্যাদা অনন্য ও অতুলনীয়।
অনাচার, হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি পরিহার করে সমাজে শান্তি বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকা প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য।
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারী রোধ করার জন্য আমাদের আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতে হবে যাতে আর কোন মানুষের জীবনহানি না হয় এবং ঐ রোগে আর কেউ যেন আক্রান্ত না হয়। অসুস্থ করোনা রোগীদের দ্রুত সুস্থতার জন্য আমরা যেন আল্লাহর কাছে মোনাজাত করি ।
মাহে রমজান প্রতিটি মুসলমানের জীবনে বয়ে আনুক শান্তি-সুখের বার্তা, সবার জীবন হয়ে উঠুক মঙ্গলময়, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে আমি এ প্রার্থনা জানাই।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”