মুসলিম উম্মাকে রমজানের শুভেচ্ছা, কোয়ারেন্টিনেই রোজা পালন করবেন খালেদা জিয়া
কোয়ারেন্টিনে থেকেই পবিত্র রমজান মাসে রোজা পালন করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। রমজান শুরুর প্রাক্কালে শুক্রবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা জানান। তিনি বলেন, ম্যাডাম এখন কোয়ারেন্টিনে আছেন। যেহেতু গোটা জাতি শাটডাউনে আছে, চলাচল এবং সব কিছুই বন্ধ। উনি (ম্যাডাম) উনার ব্যক্তিগত চিকিতসকদের সাথে পরামর্শ করে চিকিতসাধীন আছেন এবং এভাবে কোয়ারেন্টিনে থেকে তিনি রমজানের রোজা পালন করবেন।
রমজান উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম উম্মাকে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, খালেদা জিয়া পুত্রবুধদ্বয়, নাতনীদের সাথে টেলিফোনে কথা বলেন, কোরআন তেলোয়াত, তজবীহ পাঠসহ বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন।
উল্লেখ্য যে, গত ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে ৬ মাস সাজা স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় সরকার। মুক্তির পেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য় উঠেন অসুস্থ খালেদা জিয়া। বাসার দোতলায় চিকিতসকদের পরামর্শক্রমে তিনি ১৪ দিন কোয়ারেইন্টিনে ছিলেন। ওই ১৪দিন শেষ হওয়ার পর থেকে এখনো তিনি কোয়ারেন্টিনে আছেন।
লন্ডন থেকে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান তার চিকিৎসার সব কিছু তত্ত্বাবধায়ন করছেন।
৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভোগছেন।
খালেদা জিয়ার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিমের সদস্য ডাঃ জাহিদ হোসেন বলেন, প্রকৃতপক্ষে ম্যাডামের শারীরিক অসুস্থতাটা পূর্বের ন্যায়ই আছে। এটা বিভিন্ন কারণে হচ্ছে। হাত-পায়ের ব্যথা আগের মতোই আছে। আজকে হয়ত একটু ভালো থাকে আবার কালকে প্রচণ্ড ব্যথা থাকে। ব্যথা উপশমের জন্য থেরাপি দেয়া হচ্ছে। উনার ডায়াবেটিস বেশ অনিয়ন্ত্রিত।
‘ম্যাডাম বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক করোনাভাইরাস সংক্রামণ পরিস্থিতি ও পরবর্তী অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন।’- বলে জানান তিনি। গুলশানের ‘ফিরোজা’র গেইটে পাহারারত নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, ম্যাডামের বাসায় প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। শুধু চিকিৎসকের টিমের সদস্যবৃন্দ ও কয়েকজন নিকট আত্বীয় স্বজন বাসায় প্রবেশাধিকার রয়েছে।