‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্যাকেজ শুভঙ্করের ফাঁকি’
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্যাকেজকে শুভঙ্করের ফাঁকি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসেনর রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর ৭২ হাজার ৫শ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ও ১৩ এপ্রিলের ভাষণে সর্বমোট ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার অর্থনৈতিক প্যাকেজটি কলেবরে বড় হলেও এটি একটি শুভঙ্করের ফাঁকি, লোক দেখানো, আইওয়াস মাত্র। প্যাকেজটি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, প্রণোদনা বলা হলেও মূলত অধিকাংশই ব্যাংক নির্ভর ঋণ-প্যাকেজ যা বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ী মহলকে দেয়া হবে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে। এতে সরকারের প্রণোদনা নিতান্তই অপ্রতুল।”
তিনি বলেন, ‘‘যেমন গার্মেন্টস মালিকদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ, শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের মালিকদের জন্য ৩০ হাজার কোটি ঋণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পের মালিকদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ, কৃষি খাতে ৫ হাজার কোটি ঋণ, ইডিএফ সম্প্রসারণ ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ঋণ, প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট ফিন্যান্স স্কিমে ৫ হাজার কোটি ঋণসহ সর্বমোট ৭৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার ঋণ প্যাকেজ ঘোষণা করা হলেও এর মধ্যে সরকারের ভর্তুকি বাবদ দেবে ৩ হাজার কোটি টাকা মাত্র। অর্থাত ৭৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ঋণ প্যাকেজের মধ্যে মূলত সুদ ভর্তুকির ৩ হাজার কোটি টাকাই হচ্ছে সরকারি প্রণোদনা। অবশিষ্ট অর্থ সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের স্বাভাবিক ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে বিতরণ করবে। এতে সরকারের খরচ হবে ৩ হাজার কোটি টাকা, বাকি অর্থ আসবে ব্যাংক সূত্র থেকে।”
ব্যাংকগুলোর দুরাবস্থা, রেমিট্যান্স কমে যাওয়া এবং চলমান তারল্য সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলো কিভাবে ৭৭ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার ঋণ প্যাকেজের জন্য অর্থ সংকুলান করবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।