স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর ডা. মঈনের মৃত্যুতেই প্রমাণ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈনুদ্দিনের মৃত্যু প্রমাণ করে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর।
শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার ভোরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান করোনা আক্রান্ত ডা. মঈন। অভিযোগ উঠেছে, চিকিৎসা দেওয়ার সময় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর অভাবে তিনি করোনা আক্রান্ত হন। কর্মস্থল সিলেট মেডিকেলে তিনি পর্যাপ্ত চিকিৎসাও পাননি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, করোনাভাইরাস ভয়াবহ অদৃশ্য দানবে পরিণত হয়েছে। বিশ্বকে তছনছ করে দিচ্ছে, ইতোমধ্যে দিয়েছেও।
বাংলাদেশে করোনার নমুনা পরীক্ষার পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, হটলাইনে (করোনা সংক্রান্ত) লক্ষাধিক কল রিসিভ করা হচ্ছে। কিন্তু কিটের অভাবে পর্যাপ্ত পরীক্ষা করা যাচ্ছে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা শুরু থেকেই বিষয়টি বলে আসছি। করোনা প্রতিরোধের মূল কাজ হলো- পরীক্ষা, পরীক্ষা এবং পরীক্ষা।
সরকারের অব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনা এখন ঢাকা থেকে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিদেশ থেকে যারা এসেছেন, তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়নি। তারা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন তা শুভংকরের ফাঁকি। সরকারি তহবিল থেকে খুবই সামান্য অংশ দেওয়া হবে। বাকিটা গ্রাহক-ব্যাংকের সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ দেওয়া হবে। এতে করে ব্যাংকের তারল্য সংকট হবে। অন্যান্য সেক্টরে ঋণ দিতে পারবে না।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হলো যারা দিন আনে দিন খায়, তাদের জন্য বরাদ্দ যৎসামান্য। এটা বাড়াতে হবে এবং স্বচ্ছতার মাধ্যমে যথাযথভাবে বণ্টনের ব্যবস্থা করতে হবে। ত্রাণ সহায়তা সেনাবাহিনীর মাধ্যমে দিতে হবে।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, গার্মেন্টস খাতে যারা রপ্তানি করেন, তাদেরকেই কেবল প্রণোদনা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরেও যেসব কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করেন, তারা সহায়তা না পেলে সমস্যার সৃষ্টি হবে।
এ সময় আবারও জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় জোর দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। সকল রাজনীতিবিদ এবং পেশাজীবীসহ অভিজ্ঞদের এই টাস্কফোর্সে সম্পৃক্ত করতে হবে।