হতদরিদ্রদের ১৮৪ বস্তা চাল নিজের বাড়িতে রেখে দিয়েছেন আ.লীগ নেতা

0

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য ও কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরে আলমের বাড়ি থেকে হতদরিদ্র জেলেদের ১৮৪ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ইউনিয়নের স্টিমারঘাট এলাকায় চেয়ারম্যানের বাড়িতে র‌্যাব-৮ সদস্যরা অভিযান চালায়। এ সময় ঘরের মধ্য থেকে এসব চালের বস্তা উদ্ধার করা হয়। তবে র‌্যাবের অভিযান টের পেয়ে বাড়ি থেকে আগেই পালিয়ে যান চেয়ারম্যান নূরে আলম।

নূরে আলম কেদারপুর ইউনিয়নের স্টিমারঘাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং কেদারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া র‌্যাব-৮ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মুকুর চাকমা জানান, হতদরিদ্র জেলেদের চাল ওজনে কম দেয়া হচ্ছে- এমন অভিযোগ পেয়ে সন্ধ্যায় কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদে অভিযান চালানো হয়। জনপ্রতি ৪০ কেজি চাল বিতরণের কথা থাকলেও প্রতিজনকে ১০ কেজি করে কম চাল দিতে দেখা যায়। এ অভিযোগে আটক করা হয় ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. জাকির হোসেন ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রোকনউজ্জামানকে।

পরে র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, চেয়ারম্যান নূরে আলম জেলেদের মাঝে বিতরণের জন্য তাদের ৩৫ কেজি করে চাল দিয়েছে। বাকি পাঁচ কেজি করে চাল তারা রেখে দিয়েছেন। এ কারণে ৪০ কেজি করে না দিয়ে তারা জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল দিয়েছেন। চেয়ারম্যান নূরে আলমের বাড়িতে বেশ কয়েক বস্তা চাল রাখা আছে বলে জাকির ও রোকনউজ্জামান র‌্যাবকে জানান।

এএসপি মুকুর চাকমা জানান, জাকির ও রোকনউজ্জামানের দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে চেয়ারম্যান নূরে আলমের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। উদ্ধার করা হয় ৩০ কেজি ওজনের ১৮৪ বস্তা চাল। প্রতি বস্তা ৩০ কেজি হিসেবে পাঁচ হাজার ৫২০ কেজি চাল উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, চেয়ারম্যান নূরে আলমকে আটক করা সম্ভব হয়নি। হতদরিদ্র জেলেদের চাল নিজ বাড়িতে মজুত রাখায় নূরে আলমের বিরুদ্ধে বাবুগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

আর অভিযানে আটক ইউপি সদস্য জাকির ও রোকনউজ্জামানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হলে তাদের এক মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com