ব্রিটেনে করোনাভাইরাসে আরও ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। ১৫ এপ্রিল (বুধবার) দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায় তাদের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেছেন তাদের স্বজনরা। তারপরও অনেকেরই খবর আসছে না সংবাদ মাধ্যমে। বিশেষ করে নারীদের।
সরকারি সূত্রে সঠিক কোনও পরিসংখ্যান প্রকাশিত না হলেও স্যোশাল মিডিয়ার পরিসংখ্যানেও রয়েছে মতভেদ। করোনায় মৃতদের তালিকা করারও চেষ্টা করছেন সংবাদকর্মীরা। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৯৪ জন বাংলাদেশি এই মহামারীতে মৃত্যুবরণ করেছেন। সর্বশেষ মৃত্যুবরণকারীরা হচ্ছে:-আব্দুন নূর
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন পূর্ব লন্ডনের ইস্টহামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আব্দুন নূর। তিনি গত ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে নিউহাম হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৬২ বছর। তিনি স্ত্রী, ৪ ছেলে ১ মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি জগন্নাথপুর বৃটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। তার দেশের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার, জগন্নাথপুর পৌরসভার হাবিবুর গ্রামে।
হাবিবুর রহমান
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের বো এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান। তিনি গত ১৪ এপ্রিল মঙ্গরবার বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটের সময় লন্ডন হমাটন হসপিটালে ইন্তেকাল করেন। তিনি গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। তার দেশের বাড়ি সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলার, সাদিপুর ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামে।
সুরুজ আলী
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃত্যুবরণ করেছেন নিউহামের বাসিন্দা সুরুজ আলী। তিনি ১৫ এপ্রিল বুধবার সকালে হমাটন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। তিনি স্ত্রী ২ ছেলে ২ মেয়ে রেখে গেছেন। তার দেশের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সাবাজপুর গ্রামে।
শফিকুল ইসলাম
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইংল্যান্ডের কেন্টে মৃত্যুবরণ করেছেন শফিকুল ইসলাম নামের এক ইতালিয়ান বাংলাদেশি। তিনি গত ১২ এপ্রিল রবিবার স্থানীয় একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ইউকের সাধারণ সম্পাদক জলিল খান জানিয়েছেন, তিনি গত ৪ বছর যাবত কেন্টের একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন। তার দেশের বাড়ি নারায়নগঞ্জ জেলায়। যুক্তরাজ্যে তার কোনও নিকট আত্মীয় স্বজন নেই বলে জানিয়েছেন জলিল খান। তবে দেশে মৃত শফিকুল ইসলামের স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মরহুমের জানাজা ও দাফন রেস্টুরেন্ট মালিক করছেন বলে জানাগেছে। তবে ওই রেস্টুরেন্টের মালিক তার নাম প্রকাশ করেননি।