বিএনপি নেতার বাসায় সন্ত্রাসী হামলা মির্জা আলমগীর এর নিন্দা ও প্রতিবাদ
বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের মহাদুর্যোগকালীন সময়ে বগুড়া পৌর এলাকার গরীব, অসহায়, নিরন্ন ও ছিন্নমুল মানুষদের মাঝে বিতরণের জন্য বগুড়া পৌরসভা মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমানের নামে বরাদ্দকৃত ত্রাণের চাল নিয়মবহির্ভূতভাবে জোরপূর্বক বরাদ্দ নেয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে সরকারদলীয় কতিপয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেয়রের বাসায় সশস্ত্র হামলা ও বাসার দারোয়ানদের মারধর করে গুরুতর আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৪, ২০২০ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহসচিব বলেন, “বিশ্বব্যাপী মহামারীতে সারা দুনিয়ার মানুষ যখন শঙ্কিত তখন এই ভীতি ও শঙ্কার মধ্যেও বাংলাদেশের মানুষ দু:শাসনের প্রভাবে অসহায় হয়ে পড়েছে। জনগণের নিকট জবাবদিহিতাহীন সরকারদলীয় লোকেরা এই মহামারীর মধ্যেও যে নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণ করছে তা নজীরবিহীন। সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা ত্রাণ নিয়ে যে তেলেসমাতি শুরু করেছে তাতে তারা সারাদেশকে নরকরাজ্যে পরিণত করেছে।
আজ বগুড়া পৌর মেয়রের বাসভবনে ত্রাণের চাল বরাদ্দ নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা সেটিরই ধারাবাহিকতা। দেশে যখন নিরন্ন ও ক্ষুধার্ত মানুষ খাদ্যের জন্য হাহাকার করছে তখন দেশব্যাপী ত্রাণ সামগ্রী চুরি ও লুটপাটে ক্রমান্বয়ে পরিস্থিতি আরও বেসামাল হয়ে উঠছে। কোনভাবেই সরকারদলীয় নিয়ন্ত্রণে আসছে না। ত্রাণ নিয়ে নজীরবিহীন ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশে। এতে বিশ^ব্যাপী দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের মরণঘাতি ছোবলে দেশের মানুষ যখন দিশেহারা তখন সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা অসহায় মানুষকে সহায়তা দিতে নয়, বরং গরীবদের পেটে লাথি মেরে নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। শাসক দলের নেতাকর্মীদের নির্লজ্জতা এমন চরমে পৌঁছেছে যে, তারা ত্রাণ আত্মসাতের জন্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হতেও দ্বিধা করছে না। বগুড়া পৌর মেয়রের বাসায় ত্রাণ নিয়ে সৃষ্ট সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করছি।”