ফেনীতে নারীর লাশ দাফনে বাধা, অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর
করোনা সংক্রমণে মারা গেছে ভেবে ফেনীতে এক নারীর লাশ কবরস্থানে দাফন করতে দেয়নি স্থানীয়রা। পরে ফেনী পৌরসভার সরকারি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
মৃতের স্বজনরা জানান, ২৫ থেকে ৩০ বছর আগে থেকে আয়েশা বেগম (৬০) পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকার বান্দেরজলা এলাকায় বসবাস করে আসছেন। সোমবার ওই নারী কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় ঢাকার কল্যাণপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যায়। পরে তার ভাই কামাল উদ্দিন মোল্লা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করে সোমবার রাতে দাফনের জন্য অয়েশার লাশ ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের আবুপুরে নিয়ে আসেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে করোনায় ওই নারী মারা গেছেন ভেবে দাফনে বাধা দেয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্থানীয়রা লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সে ভাঙচুর চালায়।
খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঞা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। একপর্যায়ে স্থানীয়দের দাবির মুখে আয়েশার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন না করে ফেনী পৌরসভার সুলতানপুর সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শর্শদী ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঞা বলেন, দক্ষিণ আবুপুর গ্রামে ওই নারীর বাবার বাড়ি। তারা দীর্ঘ ২৫-৩০ বছর ঢাকায় বসবাস করে আসছেন। তার লাশ গ্রামে আনলে স্থানীয়রা করোনার সংক্রমণে মারা গেছে ভেবে দাফনে বাধা দেয়। পরে ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মৃতের পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে পৌর কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।