শিরিন শীলার ওপর নজরদারির মাধ্যমে আরমানের খোঁজ পায় র্যাব
ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি আরমানের পুরো নাম এনামুল হক আরমান। বাড়ি নোয়াখালী। আরমানের উত্থান ঘটে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকা থেকে। এক সময় সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় লাগেজ আনার ব্যবসা করতেন তিনি।
সে সুবাদে সিঙ্গাপুরে ক্যাসিনোর সঙ্গে পরিচয় ঘটে আরমানের। পরবর্তী সময়ে সম্রাটকে এই ব্যবসার ধারণা দেন আরমান।সূত্র জানিয়েছে, আরমান একসময় হাওয়া ভবন ঘনিষ্ঠ ছিলেন। শামিল ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে। পদ-পদবি না থাকলেও হাওয়া ভবন ঘনিষ্ঠ বলে মতিঝিল ক্লাবপাড়ায় প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন তিনি। বিএনপি আমলেই আরমান ফকিরাপুলের কয়েকটি ক্লাবের জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন। বিএনপি ক্ষমতা থেকে চলে গেলে যুবলীগের মিছিলে হাজির হতে শুরু করেন আরমান। ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন যুবলীগ নেতাদের।
সম্রাট ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি হলে সহ-সভাপতি করা হয় আরমানকে। সম্রাটের ক্যাসিনোর ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত আরমান। মূলত তার মাধ্যমেই ক্যাসিনোজগতে প্রবেশ ঘটে সম্রাটের। ক্যাসিনো কারবারে আরমানকে গুরু বলে মানতেন সম্রাট নিজেই। যুবলীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, আরমান নিজের টাকা দিয়ে প্রথমে ক্যাসিনোর সরঞ্জাম কিনে আনেন ঢাকায়। এছাড়া আরমান চলচ্চিত্র প্রযোজক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন। সম্প্রতি দুটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে তিনি কয়েক কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় সিনেমার নায়িকা শিরিন শীলার ওপর নজরদারির মাধ্যমে আরমানের খোঁজ পেয়েছে র্যাব।