অভিযোগ জানিয়ে পরামর্শ তাবিথের
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হটলাইন নম্বরে ফোন করে মানুষ খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল। এছাড়া, ঢাকা উত্তরের সব কমিউনিটি সেন্টারকে অবিলম্বে কোয়ারেন্টাইন অথবা আইসোলেশন সেন্টার করার জন্য মেয়রের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার তাবিথ এই অভিযোগ জানানোর পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোহাম্মদ জামাল মোস্তফাকে দেওয়া এক চিঠিতে তিনি এ অনুরোধ জানান।
চিঠিতে তাবিথ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবং অভাবী মানুষের সহায়তায় উত্তর সিটি করপোরেশনের ভূমিকা কী হওয়া উচিত সে বিষয়ে করপোরেশনকে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে সিটি করপোরেশনকে ঝুঁকি নিয়ে অতিসত্বর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির এই পরাজিত মেয়র প্রার্থী তার চিঠিতে বলেন, অভাবী মানুষের খাদ্য সহায়তার জন্য যে দুইটি হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে তাতে অনেকেই সংযোগ স্থাপন করতে পারছেন না। যে কয়েকজন হটলাইনে কথা বলেছেন, তাদের কাছে ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্রে নম্বর চাওয়া হয়েছে। কিন্তু খাদ্য সহায়তা তাদের কাছে পৌঁছায়নি। জাতীয় সংকট মুহূর্তে সিটি করপোরেশনকে মানুষের কাছে অতি দ্রুত খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
তাবিথ বলেন, হটলাইনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। কতগুলো ফোন গ্রহণ করা হয়েছে এবং কতজনকে সহায়তা করা হয়েছে, সে তথ্য প্রতিদিন ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। খাদ্য সহায়তার জন্য উত্তর সিটির জোনাল অফিসগুলোতে ফুড ব্যাংক গড়ে তুলে এস্টেট অফিসার, এনজিও ফাউন্ডেশন এবং করপোরেট রিটেইল অফিসারদের সহায়তা নিতে হবে। যেসব নাগরিক ব্যক্তিগতভাবে সহায়তা করতে ইচ্ছুক তাদের উৎসাহিত করা প্রয়োজন। বিভিন্ন বাজার এবং আবাসিক এলাকার প্রবেশদ্বার ও বের হওয়ার পথসহ প্রত্যেক এলাকায় হাত ধোয়া কেন্দ্র স্থাপন এবং সেখানে তাপমাত্রাও নির্ণয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় সিটি করপোরেশনের সকল কমিউনিটি সেন্টারগুলোকে কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশন সেন্টারে পরিণত করা উচিত। হাসপাতালের মেডিকেল বর্জ্য এবং আবাসিক এলাকা থেকে আবর্জনা সংগ্রহ ও ধ্বংসে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যাতে ব্যবহৃত সুচ, গ্লাভস, মাস্ক ও পিপিই যেন অবৈধভাবে আবার ব্যবহারে সুযোগ তৈরি না হয়।
তাবিথ বলেন, জাতীয় সংকটের এই সময়ে আমাদের সকলেরই কিছু না কিছু দায়িত্ব আছে। কিন্তু আমাদের সবার কাছে পর্যাপ্ত সম্পদ নেই। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে সিটি করপোরেশনকে ঝুঁকি নিয়ে অতিসত্বর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ, জনস্বাস্থ্য ও জননিরাপত্তা-ই সিটি করপোরেশনের প্রধান ম্যান্ডেট।