মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ১০ চিকিৎসকই অনুপস্থিত
করোনা আতঙ্কের মধ্যে ১০০ শয্যার মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের অনেকেই অনুপস্থিত রয়েছেন। এমনকি হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে সর্দিকাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের রোগীর চিকিৎসায় কর্তব্যরত একমাত্র চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায়নি।
বুধবার এ হাসপাতালের কর্মরত ১৮ চিকিৎসকের মধ্যে ১০ জন চিকিৎসকই অনুপস্থিত ছিলেন। বেলা ১১টার দিকে হাসপাতাল ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
এদিকে, করোনা আতঙ্কের কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ছিল নেহাতই কম। দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা স্বল্পসংখ্যক রোগীও চিকিৎসক না পেয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। আবার হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাখাওয়াত হোসেনকে রোগীর সঙ্গে অসদাচরণ করতে দেখা গেছে। গাইনি সংক্রান্ত চিকিৎসাসেবা নিতে মরিয়ম (২৩) নামে ওই রোগী তার দ্বারস্থ হন। দেখভাল করার এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালের কাটা টিকিটটি ছিঁড়ে ফেলেন এ চিকিৎসক।
জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ২২টি। এরমধ্যে ১৮ জন চিকিৎসক দিয়ে এ হাসপাতালের কার্যক্রম চলে আসছে। সরেজমিন হাসপাতালের ইউনানী বিভাগের মেডিকেল অফিসার মো. বিদ্যুত ও তাজুল ইসলামকে কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
এছাড়া মেডিকেল অফিসার মৃদুল দাস, গাইনি বিভাগের চিকিৎসক উম্মে কুলসুম সম্পা, মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট কামরুল হাসান, সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. গোলাম মহিউদ্দিন, জরুরি বিভাগে কর্মরত ডা. শৈবাল বসাক ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাখাওয়াত হোসেনকে হাসপাতালে পাওয়া যায়।
তবে হাসপাতালের বাকি ১০ জন চিকিৎসকই ছিলেন হাসপাতালে অনুপস্থিত। শিশু বিভাগের চিকিৎসক ডা. সালাহউদ্দিনকে কর্মস্থলে পাওয়া যায়নি। তার কক্ষে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। সর্দিকাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের রোগীদের চিকিৎসায় হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারটি খোলা থাকলেও সেখানে কর্তব্যরত একমাত্র চিকিৎসক ডা. কনককে তার কক্ষে দেখা যায়নি। অর্থোপেডিকস চিকিৎসক ডা. উত্তর কুমার সাহার কক্ষেও তালা ঝুলতে দেখা গেছে। এমনকি হাসপাতালের অন্তত ১০ চিকিৎসককে হাসপাতালে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ হাসপাতালের অধিকাংশ ডাক্তার ঢাকায় থাকেন। বিভিন্ন স্থান লকডাউন থাকায় যানবাহনের অভাবে ডাক্তাররা কর্মস্থলে আসতে পারেননি। সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কম। করোনার আতঙ্কের কারণে অনেক রোগী হাসপাতালের আসেন না। এ কারণে যে ক’জন চিকিৎসক হাসপাতালে আসছেন তাদের দিয়েই রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। আর বিভিন্ন অঞ্চল লকডাউন থাকায় যানবাহনের অভাবে অনেক চিকিৎসক কর্মস্থলে আসতে পারছেন না।