রাজধানীর বস্তিতে জীবাণুনাশক ঔষধ স্প্রে করছে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সমস্যা থেকে বাংলাদেশের মানুষ যাতে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে সে জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরামর্শে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
তারই অংশ হিসেবে জেডআরএফের কৃষিবিদ গ্রুপ ঢাকা মহানগরীর কয়েকটি বস্তিতে করোনার সংক্রমণ রোধে ও ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে জীবাণুনাশক ঔষধ স্প্রে করার কাজ হাতে নিয়েছে। বুধবার মহাখালীস্থ ৭ তলা বস্তিতে জীবাণুনাশক স্প্রে করার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এই কার্যক্রম পরিচালনার সার্বিক দায়িত্বে রয়েছেন কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. আবদুল করিম ও কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার।
মহাখালী ৭ তলা বস্তিতে জীবাণুনাশক স্প্রে করার সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ সানোয়ার আলম, ২০ নং ওর্য়াড বিএনপির সেক্রেটারি মোঃ হারুন অর রশিদ, বিএনপি নেতা জসীম উদ্দিন প্রমুখ। এসময় স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ তাদেরকে সহযোগিতা করেন।
কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম বলেন, মহাখালীর সাত তলা বস্তিতে বুধবার দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জেডআরএফের কৃষিবিদ গ্রুপ ব্লিচিং পাউডার ও অন্যান্য জীবানুনাশক ওষুধ পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে করেন। তিনি বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং ডেঙ্গুর সম্ভাব্য ভয়াবহ প্রকোপ থেকে বস্তিবাসীকে সচেতন ও রক্ষার্থে জীবানুনাশক ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বুধবার প্রথম দিনে চারটি বড় স্প্রে মেশিনের মাধ্যমে মহাখালীর ৭ তলা বস্তির বিভিন্ন ভবন, রাস্তা ও কার্যালয়ে স্প্রে করার মাধ্যমেএই কার্যক্রমের শুরু হলো। পর্যায়ক্রমে রাজধানীর অন্যান্য মোট ১০ টি বস্তিতেও জীবানুনাশক কেমিক্যাল স্প্রে করা হবে।
এসময় স্থানীয় বস্তিবাসী স্প্রেম্যানদেরকে সানন্দে তাদের ঘরে নিয়ে যান এবং প্রয়োজনীয় স্থানে জীবাণুনাশক ঔষধ স্প্রে করিয়ে নেন।
সার্বিক বিষয়ে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা: ফরহাদ হালিম ডোনার জানান, করোনার কারণে অসহায় গরিব মানুষকে সাহায্য করার জন্য (জেডআরএফ) ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। জেডআরএফের ২৭ টি টিম বিভিন্ন নির্দিষ্ট বিষয়ে সেবাপ্রদানের লক্ষ্যে কাজ করছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের ক্রান্তিলগ্নে যেভাবে সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন সেভাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনও বর্তমানে দেশের ক্রান্তিলগ্নে মানুষের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে করোনা সংক্রান্ত বিষয়ে যেকোনো পরামর্শ ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবার জন্য চালু করা হয়েছে ২৫ টি মোবাইল হটলাইন নাম্বার। যেখানে দেশ বিদেশের অনেক মানুষ ফোন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়েছেন। তাছাড়া দেশের প্রায় সব বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বা পিপিই সরবরাহ করার পরিকল্পনা জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের রয়েছে বলে তিনি জানান।