জাতীয় ঐক্যের ডাক, যা আছে ঐক্যফ্রন্টের ৫ দফায়
সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাসে উদ্ভূত সংকট মোকাবিলায় সরকারকে ৫ দফা প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। একইসঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার আহ্বানও জানিয়েছে রাজনৈতিক এই জোট সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) রাজনৈতিক এই জোটের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঐক্যফ্রন্টের ৫ দফায় বলা হয়েছে, ভয়াবহতা ইতোমধ্যেই এক বৈশ্বিক সংকটে পরিণত হয়েছে। এই সংকট ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশেও বিস্তার লাভ করছে, এ আশংকা এখন সবার মনে। সরকার কর্তৃক করোনার ঝুঁকিতে পড়া ১৮ কোটি মানুষের জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করা এবং ব্যাপক ভিত্তিতে করোনা টেস্টিং কার্যক্রম সারা দেশে বিস্তৃত করা এখন সর্বাগ্রে প্রয়োজন। কেননা, বর্তমান প্রেক্ষিতে স্পষ্ট প্রতীয়মান যে, এখন এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে করোনা সংক্রমণ বিস্তার লাভ করার পরিস্থিতি আগত প্রায়।
বিবৃতিতে আরও বলায়, এ পরিস্থিতিতে জনগণ এই মুহূর্তে এক চরম অনিশ্চয়তার ভেতর কালাতিপাত করছে। গার্মেন্টস সেক্টর খোলা এবং বন্ধ রাখার সমন্বয়হীন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত শাটডাউনের কার্যক্রমকে চূড়ান্তভাবে বিপর্যস্ত করায় জনগণের আস্থা বিনষ্ট হয়েছে। বলা বাহুল্য, কোনও সংকীর্ণ ও দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে এ দুর্যোগ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
যা আছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৫ দফা প্রস্তাবনায়:
১) পেশার সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞগণ এবং দল-মত নির্বিশেষে জাতির সকল অঙ্গের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে “জাতীয় ঐকমত্য” গড়ে তোলা।
২) যুদ্ধকালীন এক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সর্বদলীয় টাস্কফোর্স গঠন এবং জাতীয়-আঞ্চলিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা।
৩) করোনার বিস্তার রোধে বাস্তচ্যূত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা।
৪) কর্মহীন শ্রমিক, বিশেষ করে গার্মেন্টস নারী শ্রমিক, হতদরিদ্র দিনমজুর, প্রান্তিক কৃষক, প্রতিবন্ধী, ছিন্নমূল শিশুসহ অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য অবিলম্বে খাদ্যসামগ্রীর ন্যায্যমূল্যে রেশনিং চালু করা।
৫) করোনা পরবর্তী আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘আপদকালীন অর্থনৈতিক কাউন্সিল’ গঠন করা।