প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা শুভংকরের ফাঁকি, নেই গণমাধ্যমও: বিএনপি
করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) সৃষ্ট অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজকে শুভংকরের ফাঁকি বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। দলটির অভিযোগ, সংবাদকর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলেও তারা এই প্রণোদনায় নেই।
সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভিডিও কনফারেন্সে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ সব কথা বলেন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় রবিবার ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার পাঁচটি প্যাকেজে আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
রিজভী বলেন, ‘আমাদের মনে হয়েছে তার এই প্যাকেজগুলো মূলত সরকার সমর্থক শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের কম সুদে ব্যাংক থেকে ঋণের সুবিধা দেওয়া। তবে ঋণ দেওয়া তো ব্যাংকের স্বাভাবিক ব্যবসা। এটা তো প্রণোদনা নয়।’
তিনি বলেন, ‘সুদের হারের কমানো যে অংশটুকু সরকার ভর্তুকি দেবে, প্রণোদনা শুধু সে অংশটুকুই। কাজেই মোট ঋণের সাড়ে ৭২ হাজার কোটি টাকাকেই প্রণোদনা প্যাকেজ হিসেবে দেখানো আসলে মস্ত একটা শুভংকরের ফাঁকি।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেড় কোটি মানুষ কর্মচ্যুত হতে যাচ্ছেন। এসব মানুষ ও তাদের পরিবারকে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থাৎ প্রতি পরিবারে চারজন করে হিসাব করা হলেও প্রায় ৫ কোটি মানুষকে খাবার সরবরাহ করতে হবে। এজন্য কোনো কার্যকর পরিকল্পনা নেই এই প্যাকেজে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বা এই সংকটের সবচেয়ে প্রকট ভুক্তভোগী দরিদ্র লোকেদের বাঁচানোর জন্য কিছু আছে কি এই প্যাকেজে?
রিজভী বলেন, ক্ষুধা লকডাউন বোঝে না, কোয়ারেন্টাইন বোঝে না, বোঝে না সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ‘লকডাউন’ করা হয়েছে এই দিনমজুর শ্রেণির খাবারের ব্যবস্থা করে। আর আমাদের দেশে প্রণোদনা প্যাকেজেও এই মানুষগুলোর জন্য কিছু নেই। এরা তাহলে কী করবে, কোথায় যাবে?
বিভিন্ন সেবামূলক কাজে যারা জড়িত তাদের নিরাপত্তা ও ঝুঁকিভাতার কথাও প্যাকেজে নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, এতদিন ধরে গণমাধ্যমকে সহায়তার যে কথা বলা হয়েছিল তাও প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজে উল্লেখ নেই। অথচ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গণমাধ্যমের কর্মীরা দায়িত্ব পালন করছেন।