গার্মেন্টস মালিক যখন মন্ত্রী
টিপু মুনশি।ছিলেন খ্যাতিমান গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীদের নেতৃত্বও দিয়েছেন। হলেন এমপি, মন্ত্রী।এখন রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। পিয়াজের সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরির সময় ছিলেন আলোচনায়। ফের তাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এবার অবশ্য দেশের অন্যতম ক্রান্তিকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আলোচিত হচ্ছেন তিনি। যদিও এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর জন্যও সংকটময় সময়। দুনিয়ার নেতারা এক বাক্যে বলছেন, এমন সংকট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবী আর কখনও দেখেনি।
করোনা ভাইরাস শুধু লাশের মিছিলই তৈরি করছে না, পুরো অর্থনীতিকেই বিপর্যস্ত করে ফেলছে। ঘর আর হাসপাতালগুলোতে বন্দি মানুষ।
এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে ঢাকামুখী গার্মেন্টস কর্মীদের স্রোত দেখলাম আমরা। বাংলাদেশ কেন, সম্ভবত পৃথিবীর যেই এসব ছবি দেখেছেন আতকে ওঠেছেন। ৫ই এপ্রিল থেকে গার্মেন্টস খোলার সিদ্ধান্তের কারণেই চাকরি বাঁচাতে শ্রমিকদের ছুটতে হয়েছে। কে না জানে, এ শ্রমিকরা করোনা বিজয়ী নয়। জীবন এবং জীবিকা দুটো বাঁচাতেই লড়তে হচ্ছে তাদের। গার্মেন্টস শ্রমিকদের এমন বিপদের মুখে ফেলার জন্য অনেকেই বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হককে দুষছেন। সভাপতি হিসেবে তার দায়ও সর্বাগ্রে। কিন্তু বাণিজ্যমন্ত্রী টপু মুনশির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন বাড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, গার্মেন্টস ব্যবসায় সংশ্লিষ্টতার কারণে বাণিজ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তগুলো মালিক বান্ধব হয়ে যাচ্ছে কি না? শ্রমিকদের স্বার্থ তিনি দেখছেন কি না? অবশ্য বাণিজ্য মন্ত্রী ছাড়াও পোশাক মালিকদের অনেকে প্রভাবশালী অবস্থানে রয়েছেন। দুই শতাংশ হারে সুদে ঋণ নিয়েও পোশাক মালিকদের কারও কারও মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে।
সে যাই হোক, জীবন না জীবিকা সে প্রশ্ন বড় হচ্ছে। মানবতাবাদী অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, এ প্রশ্ন বড় বিব্রতকর। কিন্তু এটা সত্য জীবনই যদি না থাকে, মানুষই যদি না বাঁচে জিডিপি, উন্নয়ন, রপ্তানি, অর্থনীতি সবকিছুই অর্থহীন। এই সংকটের সময়ে সবার উপরে মানুষ সত্য এটাই যেন আমরা মানি।