ফের আলোচনায় ভারতের ইসরো, এবার সমকামের জেরে বিজ্ঞানী খুন!
সম্প্রতি চন্দ্রপৃষ্ঠে মহাকাশযান ‘চন্দ্রযান-২ পাঠিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরে থাকাবস্থায় একেবারে শেষ মুহূর্তে ল্যান্ডার বিক্রম অরবিটারের সঙ্গে সংযোগ হারিয়ে ফেলে। অনেক চেষ্টা করেও সেটি আর পুনরুদ্ধার করতে পারেননি ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তখন এই বিষয়টি বিশ্বব্যাপী আলোচনায় আসে।
আবারও আলোচনায় আসলো ইসরো। তবে এবার একেবারেই ভিন্ন কারণে। সম্প্রতি ইসরোর এক বিজ্ঞানীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। তার নাম সুরেশ কুমার (৫৬)।মৃত্যুর মাত্র চার দিনের মধ্যেই সুরেশ খুনের রহস্যভেদ করতে সক্ষম হয়েছে দেশটির পুলিশ। আর এতেই আবার আলোচনায় ইসরো।
কেননা, পুলিশের দাবি- স্থানীয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক টেকনিশিয়ানের সঙ্গে সমকামে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানী। যৌন চাহিদা মেটানোর পর টাকা না-মেটানোর কারণেই ওই টেকনিশায়ানের হাতে তিনি নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। এরই মধে টেকনিশয়ানকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার অঞ্জনি কুমার জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃত টেকনিশিয়ান জে শ্রীনিবাস ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করে ইসরোর বিজ্ঞানী সুরেশ কুমারকে। সেক্সুয়াল অ্যাক্টিভিটির জন্য প্রতিশ্রুতি মতো টাকা দেননি সুরেশ। সেই নিয়ে বচসাতেই শ্রীনিবাসের হাতে তিনি খুন হন।
পুলিশকর্তার দাবি, গ্রেফতারকৃত শ্রীনিবাস জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করেছেন। বিজ্ঞানী যে গে-সেক্সের কারণেই খুন হয়েছেন, তাও জানা গেছে জিজ্ঞাবাসাদেই। সুরেশ কুমারের বাড়িতে তার নিয়মিত যাতায়াতও ছিল।
পুলিশ কমিশনার জানান, শ্রীনিবাসই যে বিজ্ঞানীকে খুন করেছে, সেই সংক্রান্ত একাধিক প্রমাণ পুলিশের হাতে রয়েছে। ওই টেকনিশিয়ানের কাছ থেকে সুরেশের সোনার আংটি, খোওয়া যাওয়া নগদ ১০ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। বিজ্ঞানীর আবাসনের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করা ছিল। সেটাও শ্রীনিবাসের খুনে জড়িত থাকার একটা প্রমাণ।
তিনি জানান, বিজ্ঞানীর ফোনের কল ডিটেলস, ওই ঘর থেকে পাওয়া রক্তের নমুনা এবং পড়ে থাকা চুল থেকেই তারা খুনির হদিস পেয়েছেন।