হার্ট অ্যাটাক কি? কারনগুলো:

0

হার্ট অ্যাটাক কি?

কারনগুলো:

– হঠাৎ করে রক্তনালী বন্ধ হয়ে যাওয়া
– তেল ও বেশি মসলাযুক্ত খাবার গ্রহন
– রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া এবং কোলেস্টরলের মাত্রা কমে যাওয়া
– উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস, নিদ্রাহীনতা, হঠাৎ উত্তেজিত হওয়া বা রেগে যাওয়া
– মাদক ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণে
– এছাড়া কিছু অনিয়ন্ত্রণ যোগ্য কারণ রয়েছে, যেমন- বয়স, বংশগত

#উপসর্গ

সাধারণত বুকের মাঝখানে ব্যথা হয়। কখনো কখনো বুক চেপে আসা, মনে হয় বুকে ভারী কিছু রাখা হয়েছে, বুকের ভিতর জ্বালা-পোড়া হওয়া, হৃদপিন্ডের স্পন্দন হঠাত করে বেরে যাওয়া এ রকম কিছু উপসর্গ হতে পারে। বসা, শোয়া অবস্থায়ও ব্যথা হয়, ব্যথাটা বাঁহাতে, গলায়, পেছনে ছড়িয়ে যেতে পারে। ব্যথার সঙ্গে ঘাম, বমি হওয়া ও শ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে পারে।

#কখন হয়?

যে কোন সময় হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায়, বিশ্রামের সময়, হঠাৎ ভারী কায়িক শ্রমের জন্য, কখনো হঠাত ঠান্ডা আবহাওয়ায় বেরুলে, ইমোশনাল স্ট্রেসের জন্য, কখনো হাটা চলার মধ্যে।

#প্রাথমিক চিকিৎসা-

অনেক ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক মানুষকে ১০ সেকেণ্ড সময় ও দেয় না, যার ফলে অ্যাটাক হওয়ার সাথে সাথে অধিকাংশ সময় মানুষ মারা যান। এ ধরনের পরিস্থিতিতে –

– বুকের ওপর পাম্প করে হৃদযন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন করান।

– এমতাবস্থায় বার বার জোরে জোরে উচ্চস্বরে কাশি দিন। ‘

– শ্বাস – কাশি, এই প্রক্রিয়া প্রতি দুই সেকেণ্ডে একবার করে করতে থাকুন, যতক্ষণ না পর্যাপ্ত অক্সিজেন হৃদযন্ত্র কে সংকোচন-প্রসারণ করে একাই স্বাভাবিকভাবে স্পন্দিত হতে থাকে।

– হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বুঝতে পারলে তখনি এসপিরিন বা ওয়ারফেরিন ফর্মূলার ওষুধ খাওয়াতে হবে এতে রক্ত জমাট বাঁধতে পারবেনা।

– নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে জিহবার নিচের অংশে করতে হবে।

– হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সাহস দিতে হবে।

#প্রতিরোধে করণীয়-

– যেসব কারণে রক্তনালীর আবরণ ফেটে যায়, সে রকম কাজ থেকে বিরত থাকুন

– নিয়মিত হাঁটা চলা ও হালকা ব্যায়াম করুন

– যাদের বয়স ৪০ বছর পার হয়ে গেছে তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি, তারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজন মত অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খেতে থাকলে রক্ত জমাট বাধার প্রবণতা কমে যায়

– কোলস্টেরল কমানোর ওষুধগুলো রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা কমানো ছাড়াও রক্তনালির ওপর জমে থাকা চর্বি পরিষ্কার করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়

– দুশ্চিন্তা না করা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখা

– ধুমপান ও মাদক থেকে দূরে থাকা

– প্রতিদিনের খাবারে শাকসবজি ও ফল-মূল খাওয়া, এছাড়াও নিয়মিত কাঁচা রসুন খেতে পারেন

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.