ভারতীয় গায়িকাই প্রিন্স চার্লসের করোনা সংক্রমণের জন্যে দায়ী?
ফের খবরের শিরনামে ভারতীয় গায়িকা কণিকা কাপুর। নেপথ্যে সেই করোনা! “প্রিন্স চার্লসের করোনার সংক্রমণের জন্যে নাকি এই বলিউড গায়িকাই দায়ী!”, ভাইরাল কয়েকটি ছবিকে কেন্দ্র করে এমন মন্তব্যের ঝড়ই উঠেছে বর্তমানে নেটদুনিয়ায়। যেখানে কণিকা কাপুরকে দেখা গেছে ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে খোশ মেজাজে গল্প করতে।
“সর্বনাশ! এই মেয়ে তো প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্য রোগ ছড়িয়ে বেরিয়েছে”, এমন সব মন্তব্যই এখন শোনা যাচ্ছে নেটদুনিয়ায়। উপরন্তু বেশ কিছু দিন আগে লন্ডনেও গিয়েছিলেন কণিকা। যেখান থেকে তিনি নিজেই সংক্রামিত হয়েছেন। তাহলে কি বলিউড গায়িকা কণিকার জন্যই বাকিংহাম প্যালেসে থাবা বসাতে পেরেছে মারণ ভাইরাস করোনা? এমন প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই! কিন্তু আদৌ কতটা সত্যি এই তথ্য?
নেটিজেনদের একাংশের দাবি, লন্ডনে থাকাকালীনই বাকিংহাম প্যালেসের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বলিউড গায়িকা কণিকা কাপুর। সেখানেই তাকে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বাক্যালাপ সারতে দেখা যায়। কণিকার পরনে কমলা রঙের এক পশ্চিমী পোশাক। তার একদম কাছাকাছি প্রায় এক হাত দূরত্বে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রিন্স। দু’জনেই ব্যাস্ত কথোপকথনে। ভাইরাল হওয়া ছবিতে এমনভাবেই দেখা গেল কণিকা ও প্রিন্সকে। স্বাভাবিকবশতই, নেটিজেনদের মনে এখন প্রশ্ন উঁকি দিয়েছে, তাহলে কি কণিকাই দায়ী ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম অভিভাবক প্রিন্স চার্লসের করোনা সংক্রমণের জন্য?
বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একাংশ বলছে, কণিকার সংস্পর্শে এসেই যে বাকিংহাম প্যালেসে করোনা থাবা বসিয়েছে কিংবা মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রিন্স চার্লস, এসব তথ্য ভুয়া। মোটেই সত্য নয়। এমনকী তাদের দাবি, গায়িকা কণিকা কাপুর এবং চার্লসের এই ছবি অনেক পুরনো। বর্তমানে দু’জনেই করোনা সংক্রামিত হওয়ায় ভাইরাল হয়েছে ওই ছবি।
গত ২০ মার্চ কণিকার COVID-19 সংক্রমণের খবর প্রকাশ্যে আসে লখনউয়ে সোয়াব টেস্ট করানোর পর। বিদেশ থেকে ফিরে কোয়ারেন্টাইনে না গিয়ে দিব্যি পার্টি করার জন্য গায়িকার বিরুদ্ধে জারি হয়েছে একাধিক এফআইআর। বর্তমানে লখনউতেই চিকিৎসাধীন তিনি। অন্যদিকে, প্রিন্স চার্লসও এখন স্কটল্যান্ডের প্যালেসে আইসোলেশনে কড়া চিকিৎসার মধ্যে রয়েছেন। তবে একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী কণিকার সঙ্গে প্রিন্স চার্লসের এই ছবি যে আগেকার, তা বেশ বোঝা যাচ্ছে।