করোনাভাইরাস কি ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত জৈব অস্ত্র?
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সংখ্যা হিসেব করলে ইতালি এবং চীন এবং স্পেনের পরেই ইরানের অবস্থান। ইরানের কোম শহর হচ্ছে চীনের পর করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় কেন্দ্রশহর।
এ অবস্থা মোকাবেলায় ইরান সরকার এবং ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রতিনিয়ত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে চলেছেন। তবে এর পরেও আক্রান্তের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বেড়েই চলেছে।
শুরু থেকেই করোনাভাইরাসকে ইরানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দেশটির বিভিন্ন কর্মকর্তা দাবি করেছেন। এবার প্রাণঘাতি এ ভাইরাসটি ইরানের বিরুদ্ধে জৈব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে তেহরান।
ইরানের বিজ্ঞানী এবং গোয়েন্দা বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা এ কাজে নেমেছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে।
সোমবার করোনাবিরোধী লড়াইয়ে ইরানের জাতীয় সদর দফতরের অভিযান সমন্বয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত জেনারেল নাসরুল্লাহ ফাতিয়ান সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইরানি জনগোষ্ঠীর জেনেটিক গঠনকে কেন্দ্র করে এবং তাদের ওপর লেলিয়ে দেয়ার জন্য এ ভাইরাস তৈরি করা হয়েছে বলেও জল্পনা-কল্পনা করা হয়। এসব জল্পনা-কল্পনাও পরীক্ষা করে দেখা হবে।
জেনারেল নাসরুল্লাহ আরও বলেন, করোনাভাইরাসকে জৈব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের আশংকার যে কথা শোনা যাচ্ছে তা উড়িয়ে দেয়া হয়নি। এ ধরণের সব সম্ভাবনাকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইরান থেকে আগমনকারীদের মাধ্যমেই এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সৌদি মিডিয়া।
তাদের অভিযোগ, ইরান সরকার প্রথমে কোনো ধরনের প্রস্তুতি না নিয়ে বরং গোপন করার চেষ্টা করেছিল। তবে কয়েক দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর যখন সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছিল তখন আর বিষয়টি চাপা দিতে পারেনি।
অপ্রস্তুত অবস্থায় যেসব মানুষ আক্রান্ত হয়ে উপসাগরীয় অন্যান্য অঞ্চলে সফর করেছে বা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে সরে পড়তে চেয়েছে মূলত তাদের মাধ্যমেই উপসাগরীয় দেশগুলো আক্রান্ত হয়েছে।
ইরানের বিভিন্ন প্রদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ইরানের সেনাবাহিনী বিভিন্ন প্রদেশে অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবায় নিয়োজিত থেকে মৃত্যুবরণ করা স্বাস্থ্যকর্মীদের সবাইকে শহীদ (রাষ্ট্রীয় বীর) হিসেবে মর্যাদা দেয়া হবে।