করোনার শিকার স্পেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী
স্পেনের রাজনৈতিক মহলে এবার করোনার থাবা। দেশের উপ প্রধানমন্ত্রী কারমেন ক্যালভোর শরীরে মিলল করোনার নমুনা। বুধবার সে দেশের পক্ষ থেকে খবরটি জানানো হয়।
মঙ্গলবার একবার পরীক্ষা করা হয়েছিল। রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। কিন্তু প্রথম পরীক্ষাটি স্পষ্ট না হওয়ায় আবার একবার পরীক্ষা করা হয়েছিল। বুধবার সেই রিপোর্ট চলে আসে। এই পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ। আপাতত ৬৩ বছরের কারমেন ক্যালভোকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তিনি যথাযথভাবে চিকিৎসাধীন আছেন বলেই জানা যাচ্ছে সরকারি সূত্রে।
মৃত্যুতে চীনকেও ছাপিয়ে গেছে স্পেন
স্পেনে এক দিনে ৭৩৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩,৪৩৪ জনের। করোনায় মৃত্যুর সংখ্যায় চীনকে ছাপিয়ে গেল স্পেন। স্পেনের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭,৬১০ জন। শুধুমাত্র মঙ্গলবারই প্রাণ হারিয়েছেন ৫০০-রও বেশি মানুষ।
স্পেনের লকডাউন দ্বিতীয় সপ্তাহ পড়েছে। ১৩ মার্চ গোটা দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। রোববার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে স্পেনীয় প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, “সামনে আরো কঠিন সময় আসতে চলেছে, আমাদের শক্ত থাকতে হবে”। লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে জরুরি পরিষেবা ছাড়া এককথায় স্তব্ধ গোটা স্পেন। স্পেনের মাদ্রিদের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকা রোগীর চাপ সামাল দিতে হোটেলগুলিকে রাতারাতি হাসপাতলে পরিণত করা হয়েছে। সংবাদসংস্থা সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাদ্রিদের বিখ্যাত আইস রিঙ্ককে মর্গে পরিণত করা হয়েছে।
মাদ্রিদ এর প্রেসিডেন্ট ইজাবেল দিয়াজ স্থানীয় রেডিও স্টেশনে ইন্টারভিউতে বলেন, “সমগ্র মাদ্রিদের প্রায় ৮০ শতাংশের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে”। তাদের মধ্যে ১৫ শতাংশ বয়স্ক ও শিশু। প্রাথমিকভাবে স্পেনে ১৫ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পরিস্থিতি উত্তরোত্তর খারাপ হওয়ায় আরো ১৪ দিন আপাতত লকডাউন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।