কে শোনে কার কথা! তারা গেল করোনাভাইরাস পার্টিতে
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। তারপরও কেউ কেউ এ নির্দেশনা মানতে চাচ্ছেন না। যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যেও কয়েক তরুণ তেমনটাই করেছেন।
বয়স কম, তাই কিছু হবে না- এই আত্মবিশ্বাসে তারা আয়োজন করেছিলেন করোনাভাইরাস পার্টির। আর ওই পার্টিতে অংশ নেয়ার পর অন্তত একজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশের।
এই ঘটনার পর গভর্নর বলছেন, ব্যাপারটা শুনে আমি ক্ষুব্ধ। আমাদের অবশ্যই ভেবেচিন্তে কাজ করতে হবে।
যাদের হার্টের কোনো সমস্যা আছে বা ডায়াবেটিসে ভুগছেন বা বয়স ৬০ বছরের বেশি তাদের জন্য করোনা ভাইরাস বেশি ভয়ের কারণ হলেও তরুণদের বারবার হুঁশিয়ার করা হচ্ছে তারা মোটেও এ ভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে মুক্ত নয়। এছাড়া ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে তাদের বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও তাদের থেকে অন্য মানুষ সংক্রমিত হবে। তাই তরুণদের নিজেজের অবশ্যই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা এড়িয়ে চলতে হবে।
চীনের একটি তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর যাদের মধ্যে বিশেষ কোনো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না তারাই ভাইরাসটির দ্রুত বিস্তারের জন্য প্রধানত দায়ী। এছাড়া চীনে তরুণরা যে পরিমাণে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে তরুণরা তার চেয়ে বেশি হারে এ ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছেন। গেল সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন যে তথ্য দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ২০ শতাংশে বয়স ২০ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে। এছাড়া নিউ ইয়র্কে আক্রান্তদের মধ্যে ৫৩ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৮ বছরের কম বয়সী একরোগী মঙ্গলবার মারা গেছে ক্যালিফোর্নিয়াতে। আটলান্টা হসপিটালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ১২ বছরের এক শিশু। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের করোনাভাইরাস রেসপন্স কোঅর্ডিনেটর ড. ডিবোরাহ বির্ক্স জানিয়েছেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হওয়া তরুণদের খবর আসছে ফ্রান্স এবং ইতালি থেকেও।