উহানের মতো ভয়াবহ অবস্থা লোম্বার্ডিতে, টার্গেট হচ্ছে লন্ডন-মাদ্রিদ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আক্রমণে এখন সবচেয়ে করুণ অবস্থা বিরাজ করছে যুক্তরাজ্যের লন্ডন ও স্পেনের মাদ্রিদ শহর। বলা হচ্ছে, শহর দুটির শোচনীয় অবস্থা ইতালির লোম্বার্ডি শহরকেও ছাড়িয়ে গেছে। সেখানে প্রতিদিনই মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বাড়ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবচেয়ে মৃত্যু হচ্ছে নিউইয়র্কে।
করোনাভাইরাসের নতুন পরিসংখ্যান বলছে, কিছু শহরে করোনায় মৃতের সংখ্যা এমন আশ্চর্যজনক হারে বাড়ছে যে, তা দেশের মোট মৃতের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক গবেষণা বলছে, লন্ডনে দুইদিন অন্তর করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হচ্ছে। যেখানে প্রতি তিনদিনে দ্বিগুণ হচ্ছে ব্রিটেনে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত বিশ্বে সোয়া চার লাখ আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ১৮ হাজারেরও বেশি।
মঙ্গলবার ইউরোপের দেশ ইতালিতে নতুন করে ৭৪৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ হাজার ৮২০ জনে।
পরিসংখ্যান বলছে, করোনাভাইরাস এখন সবচেয়ে বেশি আঘাত হানছে ইতালির লোম্বার্ডি শহরে, যা আগে ছিল চীনের উহান। তবে লন্ডন ও মাদ্রিদে মৃতের পরিসংখ্যান দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এ শহর দুটি খুব শিগগিরই করোনার ‘হটস্পট’ হতে যাচ্ছে।
সর্বশেষ যুক্তরাজ্যের দেশ ইংল্যান্ডে নতুন করে আরও ৮৭ জন মারা গেছে। এদের মধ্যে ২১ জনই লন্ডনের। এক সপ্তাহের ব্যবধানে যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা ছয়গুণ বেড়েছে। মঙ্গলবারই মারা গেছে ৭১ জন।
স্পেনে মোট মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৭০০ জন। আক্রান্ত হয়েছে ৪০ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে মাদ্রিদেই আক্রান্ত হয়েছে ১২ হাজার ৩৫২ জন, যা মোট আক্রান্তের এক তৃতীয়াংশ। এছাড়া মারা গেছে এক হাজার ৫৩৫ জন, যা দেশটির মোট মৃতের ৫৭ শতাংশ। এই অবস্থায় ন্যাটোর সহযোগিতায় চেয়েছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অন্তত ১৩৬ জন। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৫৫৩ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ২৮৭ জন, মৃত্যু হয়েছে ৬৮৯ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের (এনওয়াইপিডি) ২১১ সদস্য নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে।
পেন্টাগন বলছে, করোনার এই মহামারি যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত সাত মাস থেকে যেতে পারে। জুন-জুলাইয়ের আগে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে না যুক্তরাষ্ট্র।
নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রিউ কুমো বলছেন, সেখানে প্রতি তিনদিনে দ্বিগুণ হচ্ছে মৃতের সংখ্যা।