পূজার সময় ‘গৃহবন্দি’ কলকাতার অভিনেতা দেব
পূজার সময় নিজে গৃহবন্দির মতো থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা দেব। তিনি বলেন, পুজো মানে আমার কাছে ‘হাউজ অ্যারেস্ট’। আমি কোথাও বাইরে যাই না। বাড়িতে বন্ধুবান্ধবরা আসে। দেদার আড্ডা মারা হয়। আমিষের ওপরই থাকি। নানা রকম খাওয়া-দাওয়া চলে। পুজোর ভোগও আমার খুব প্রিয়। এই ভোগের গন্ধই আলাদা।
পশ্চিমবঙ্গে প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
পূজা উপলক্ষে আজ (২ অক্টোবর) মুক্তি পাচ্ছে ‘পাসওয়ার্ড’।
এ বিষয়ে দেব বলেন, পুজোয় ‘পাসওয়ার্ড’ নিয়েই থাকব। প্রমোশন, দর্শকের কাছে যেন ঠিকঠাক পৌঁছাতে পারি এটাই হবে মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, দর্শক আমাদের পরিশ্রমটা যাতে বুঝতে পারেন এই চেষ্টাটাই থাকবে। আসলে এই পুজোয় পাসওয়ার্ডের মাধ্যমেই ডার্ক ওয়েবের অজানা তথ্য মানুষের সামনে নিয়ে আসতে চাই।
দেব আরও বলেন, পুজোর ছবি বলে কথা, তাই প্রচারও চলছে সেই ছন্দেই। দর্শকের চাহিদাতেই মূলত কলকাতার ২১ পল্লীর পুজো মণ্ডপে পাসওয়ার্ড ছবির পোস্টার প্রকাশ করেছি আমরা। বাংলার প্রথম সাইবার থ্রিলার বলা যেতে পারে এই ছবিকে। এই ছবি পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনা, তাই স্বাভাবিকভাবেই আশা করছি দর্শকদের ভাল লাগবে।
খিচুড়ি, পাঁচমিশেলি তরকারি, লম্বা বেগুন ভাজা— আহা! সারা বছরের রেসিপি হয়তো এক, কিন্তু পুজোর দিনে এই খাবারই অন্যরকম লাগে। এগুলো তো খাওয়া হয়েই। আর তার সঙ্গে লুচি ও কষা মাংস। এটা পুজো ছাড়া আর খাওয়া হয় না। এ সময়ে বাড়িতে প্রচুর মিষ্টি আসে। অতিথিরা আনেন। আমি ডায়েটফায়েট ভুলে ঘুরতে-ফিরতে সে সবই খেয়ে নিই। বাকিটা পরে দেখা যাবে। পুজোয় কোনও নিয়ম চলবে না। বাড়ি, বন্ধু আর খাওয়া, ব্যস!
তবে সব ঠিক থাকলে এ বার দিল্লি যেতও পারি। একজনকে প্রমিজ করেছি তার জন্মদিনে দিল্লি যাব। আর হ্যাঁ, রুক্মিণী বলবে না, তাই আমি এখানে বলে দিচ্ছি— রুক্মিণীর পুজোর পাসওয়ার্ড হচ্ছে ‘দেব’।